This Article is From Mar 11, 2020

"মোদি-শাহের অধীনে ভালো থাকুন": জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া প্রসঙ্গে কংগ্রেস

Madhya Pradesh crisis: জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বেশ কিছুদিন ধরেই কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন বলে খবর মিলেছে

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল না, এই অভিযোগ মানতে নারাজ Digvijaya Singh

হাইলাইটস

  • জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দলের মধ্যে অবহেলিত ছিলেন, এই অভিযোগ অস্বীকার
  • অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিং
  • যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল জ্যোতিরাদিত্যকে, টুইটে বলেন দিগ্বিজয় সিং
নয়া দিল্লি:

দলের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণেই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, এই বিষয়টি মানতে নারাজ পোড় খাওয়া কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং (Digvijaya Singh)। মঙ্গলবার নাটকীয় ভাবে কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা করেন জ্যোতিরাদিত্য (Jyotiraditya Scindia), কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা করে অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির উদ্দেশে একটি চিঠিতে তিনি লেখেন, "এখন আমার এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে"। জানা গেছে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বেশ কিছুদিন ধরেই কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। একসময় গান্ধি পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ওই নেতা, মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় (Madhya Pradesh Crisis) কংগ্রেসের অপ্রত্যাশিত জয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হতে পারেননি, কারণ তাঁর পক্ষে এবিষয়ে মাত্র ২৩ জন কংগ্রেস বিধায়ক সমর্থন দেন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী হন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কমল নাথ। সেই সময় থেকেই বিক্ষুব্ধতার জন্ম হয়েছিল সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ঠ মহলে। 

প্রধানমন্ত্রী মোদি, অমিত শাহের সাক্ষাৎ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া

গত বছরের অগাস্টে যখন জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করে ওই রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার সমাপ্তি ঘটায় কেন্দ্র এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে তখন মোদি সরকারের ওই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, যা কংগ্রেস শিবিরকে হতবাক করে দিয়েছিল।

তাঁকে দলের মধ্যেই অবহেলা করা হচ্ছিল, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্তে এই বিষয়টি বারবার উঠে আসছে। কিন্তু বিষয়টি মানতে নারাজ কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিং। তিনি বুধবার সকালে এই বিষয়টি নিয়েই একটি টুইট করেন। তাতে তিনি লেখেন, "তাঁকে অবহেলা করার কোনও প্রশ্নই নেই। দয়া করে এই বিষয়টি নিয়ে গোয়ালিয়র চম্বলের কোনও কংগ্রেস সাংসদ বা নেতার কাছে জিজ্ঞাসা করুন, উত্তর পেয়ে যাবেন।গত ১৬ মাসে তাঁর সম্মতি ছাড়া ওই অঞ্চলে একটা কোনও কাজ হয়েছে এটা কেউ বলতে পারবে না। এই ধরণের অভিযোগ তাই অত্যন্ত দুঃখের। তবে উনি মোদি-শাহের অধীনে ভাল থাকুন, আমি তাঁকে এই শুভেচ্ছা জানাচ্ছি"।

"... উনি হয়তে মোদি-শাহ সরকারের অধীনে ভারতের জন্যে একটি দুর্দান্ত ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন। অথচ আমাদের ব্যাংকগুলির অবস্থা বেহাল, টাকার দাম ক্রমশই কমছে, আমাদের অর্থনীতি ধুঁকছে এবং আমাদের সামাজিক স্থিতিও নষ্ট হচ্ছে। ঠিক আছে, হতে দিন", কটাক্ষ করে একথাও লেখেন দিগ্বিজয় সিং।

"দল বিরোধী" কাজ করায় জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে বহিষ্কার করল কংগ্রেস

কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির উদ্দেশে লেখা তাঁর ইস্তফাপত্রে জ্যোতিরাদিত্য লেখেন,"বরাবরই আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল আমার রাজ্য ও দেশের জনগণের সেবা করা, কিন্তু আমি মনে করছি এই দলের মধ্যে থেকে সেই কাজ আর আমি করতে পারছি না"। 

.