সূত্রানুসারে, দলীয় বিধায়কদের একাংশের বিদ্রোহী হয়ে ওঠা সম্পর্কে খবর পেয়েছিলেন কমল নাথ।
হাইলাইটস
- মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ আগাম জানতে পেরেছিলেন, বিধায়কদের বিদ্রোহের কথা
- তবুও তিনি কিছু করতে পারেননি বলে সূত্রানুসারে জানা গিয়েছে
- এতজন বিধায়কের দলত্যাগের পরে কমল নাথ সরকার ভাঙনের মুখে
ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ (Kamal Nath) জানতে পেরেছিলেন তাঁর দলের ৩০-৩৫ জন বিধায়কের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। কিন্তু তা থামাতে ব্যর্থ হন তিনি। এক সূত্র জানিয়েছে NDTV-কে। কয়েক সপ্তাহ আগেই দলের অভ্যন্তরীণ অসন্তোষের কথা জানার পরেও তা থামাতে কমল নাথের ব্যর্থতার ফলপ্রসূ ২২ জন বিধায়ক দল ছেড়ে বেরিয়ে যান। তাঁদের মধ্যে অন্যতম জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ( Jyotiraditya Scindia)। বুধবার তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে দিল্লির হিংসা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছিলে সিন্ধিয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পুরনো দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে।
সূত্রানুসারে, কমল নাথকে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছিল তাঁর দলের কোন কোন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের ব্যবহারে পরিবর্তন লক্ষ করা গিয়েছে। কিন্তু সেই সতর্কবার্তাকে পাত্তা দেওয়া হয়নি।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো নেতার দলত্যাগের পরে কংগ্রেসের সেই তরুণ বনাম প্রবীণ দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা পেয়েছে।
‘‘কোনও আইন আপনাদের সমর্থন করে না'', সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনা উত্তরপ্রদেশ সরকারকে
সূত্রানুসারে, কংগ্রেস কর্মীরা বিশেষ করে মালওয়া-নির্মর ও গোয়ালিয়র-চম্বল অঞ্চলের কর্মীরা তাঁদের এলাকার নেতাদের ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এই সপ্তাহে যে বিধায়করা দল ছাড়লেন, তাঁদের মধ্যে ১৫ জন এই দুই অঞ্চলের বাসিন্দা।
কংগ্রেস বিধায়ক বিশাউ লালও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এদিন তিনি দাবি করেন, আরও কয়েক জন কংগ্রেস নেতা গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
নানা ভাবে জানা যাচ্ছে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে দলের দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছিল। কিন্তু কমল নাথ সরকার সেভাবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। এও জানা গিয়েছে, সিন্ধিয়া অনেক চেষ্টা করা সত্ত্বেও গত কয়েক মাসে রাহুল গান্ধির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি।
যদিও রাহুল গান্ধি বুধবার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, সিন্ধিয়া চাইলেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতেন।
একসঙ্গে এতজন বিধায়কের দলত্যাগের পরে কমল নাথ সরকারে ভাঙনের মুখে। কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীদের আসনসংখ্যা এখন ৯৯। বিজেপির আসনসংখ্যা সেখানে ১০৭। ফলে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস বিধায়কদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হলে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারের পতন হবে। কেননা সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক হল ১০৪।
আর তা হলে কর্নাটকের পরে গত ১২ মাসের মধ্যে দু'টি কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের শাসনভার এভাবে গেরুয়া শিবিরের উপরে ন্যস্ত হবে।