মায়াবতি আগেই রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার সম্ভবনা খারিজ করে দিয়েছেন
হাইলাইটস
- কমলনাথ চিন্দওয়ারার ন;বারের সাংসদ
- মায়াবতির দাবি ছিল ৫০টি আসন, কংগ্রেস ছারত ৩০টি
- বিধানসভা নির্বাচনে জোট না করার কথা আগেই বলেছেন মায়াবতি
ভোপাল: কংগ্রেস নেতা কমলনাথের দীর্ঘদিনে সংসদীয় কেন্দ্র চিন্দাওয়ারাতে আসন চেয়েছিলেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। তাঁর পেশ করা আসন তালিকার মধ্যে এই চিন্দাওয়ারাও নাম ছিল। কোনও অবস্থাতেই নিজের দাবি ছাড়তে রাজি হননি মায়া। অনড় ছিল কংগ্রেসও। এই কারণেই ২৮ নভেম্বর হতে চলা বিধানসভা নির্বাচনে দুপক্ষের সম্ভাব্য জোট নিয়ে আলোচনা ভেস্তে যায়। এনডিটিভির কাউন্টডাউন প্রোগ্রামে সত্তর পার করা এই কংগ্রেস নেতা বলেন, যে সব কেন্দ্রে এবং যত সংখ্যায় আসন বিএসপি চেয়েছিল সেটা জোটের জন্য রাস্তাকে সুগম করত না। কংগ্রেস চেয়েছিল ২৩০ আসনের বিধানসভা আসনের মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ টিতে লড়ুক মায়ার দল। কিন্তু বিএসপি সুপ্রিমো চেয়ে বসেন ৫০ টি আসন।
দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে না, দাবি মায়াবতীর, লোকসভা প্রসঙ্গে নীরব
মায়াবতি চিন্দাওয়ারা আসনটি চান। এই বিধানসভা যে লোকসভার অন্তর্গত সেখান থেকে জেতেন কমলনাথ। ২০১৩ সাল থেকে বিভিন্ন তথ্যকে দেখলে বোঝা যাবে এই নির্বাচনে মায়ার দলের সঙ্গে জোট করলে ৪০ থেকে ৫০ টি আসন বেশি পেতে পারত কংগ্রেস। অবশ্য এই সমীক্ষাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ কমলনাথ। তিনি বলেন এটা একবারেই তথ্যের সরাসরি ব্যাখ্যা। মায়াবতি আগেই রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার সম্ভবনা খারিজ করে দিয়েছেন।
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারল না কংগ্রেস
এদিকে কমলনাথের আরও দাবি মায়াবতির দেওয়া সমীকরণ বিজেপিকে জিততে সাহায্য করত। তিনি বলেন ওরা (বিএসপি) ইন্দোর আর চিন্দওয়ারাতে একটা করে আসন চেয়েছিল। এই দুটি কেন্দ্র থেকে ওরা কোনঅ অবস্থাতেই এক হাজারের বেশি ভোট পেত না! আমি জানি না তবুব কেন এই দু' জায়গায় ওরা লড়তে চেয়েছিল।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কমলনাথ গত এপ্রিল মাসে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। দায়িত্বে এসে দীর্ঘ দিন ধরে যে সব জায়গায় কংগ্রেস ভাল ফল করছে সেখানে জোর দেন কমলনাথ। তবে এই একই ধরনের ভোট পেতে লড়ছে মায়াবতির দলও।
নির্বাচনের প্রচার শেষ ধাপে এসে পৌঁছেছে। এখন আর একটুও সময় নেই হাতে। নিজের এসইউভিতে করে এখান থেকে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত কমলনাথকে থামতে হচ্ছে অনেক জায়গায়, কংগ্রেস কর্মীদের ‘জয় কমল নাথ' স্লোগানে সাড়াও দিতে হচ্ছে তাঁকে।
এক সময় শোনা গিয়েছিল কংগ্রেসের ম্যুখমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবে তা নিয়ে দলের অন্দরে গোলমাল বেঁধেছে। কিন্তু কমলনাথ জানান তেমন কিছুই নেই।