This Article is From Mar 10, 2020

"সময় হয়েছে এগিয়ে যাওয়ার," সনিয়াকে লেখা পদত্যাগ পত্রে উল্লেখ জ্যোতিরাদিত্যের

কংগ্রেসের সদস্যপদ ছেড়ে সভানেত্রী সনিয়া গান্ধিকে চিঠি লিখলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়লেন। (ফাইল)

হাইলাইটস

  • কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়তে সনিয়া গান্ধিকে চিঠি লিখলেন জ্যোতিরাদিত্য
  • "সময় এসেছে এগিয়ে যাওয়ার," চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি
  • সেই চিঠি প্রকাশ্যে আসার পরই কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয় জ্যোতিরাদিত্যকে
নয়া দিল্লি:

খাদের কিনারায় মধ্যপ্রদেশের ১৫-মাসের কমল নাথ সরকার (Madhya Pradesh Government)। জাতীয় রাজনীতিতে দেশের হৃদপিণ্ড নামে পরিচিত মধ্যপ্রদেশ। সেই রাজ্যে রাজনৈতিক সঙ্কট বিশ্লেষণ করে এমন দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। ১৮ জন কংগ্রেস বিধায়ক বেঙ্গালুরুতে গিয়ে বসে। তাঁদের মধ্যে কমল নাথ সরকারের মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য আছেন। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সদস্যপদ (Jyotiraditya Scindia quits Congress) ছাড়তে সভানেত্রী সনিয়া গান্ধিকে চিঠি লিখলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। শতাব্দী প্রাচীন ওই দলের সঙ্গে প্রায় ১৮ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে মাধবরাও-পুত্র সনিয়া গান্ধিকে (Sonia Gandhi) লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, "সময় হয়েছে এগিয়ে যাওয়ার"। মঙ্গলবার সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন জ্যোতিরাদিত্য। তারপরেই কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি, সূত্রের তরফে এমনটাই খবর।

করোনা ভাইরাসের থাবা বাংলাদেশেও, সফর "স্থগিত" করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

পৃথক দল না বিজেপি? পরের ধাপ কী? এই প্রশ্নের জবাবে, জাতীয় রাজনীতিতে গুঞ্জন, সম্ভবত ওই ১৮ জন বিধায়ককে নিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। জ্যোতিরাদিত্য ও তাঁর বাবা, বরাবর কংগ্রেস ঘরানার রাজনীতি করলেও, বিজেপির সঙ্গে সিন্ধিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত। গেরুয়া শিবিরের একসময়ের পরিচিত মুখ ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ঠাকুমা বিজয়ারাজে সিন্ধিয়া। সেই পরিবারের অপর সদস্য বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সে রাজ্যে বিজেপির পরিচিত মুখ। বসুন্ধরার পুত্র দুশ্মন্ত রাজে সিন্ধিয়া রাজস্থানে বিজেপি বিধায়ক। 

অন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন ইয়েস ব্যাংকের গ্রাহকরা

ঘটনাচক্রে ১০ মার্চ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বাবা মাধবরাও সিন্ধিয়ার জন্মদিন। সেদিনকেই কংগ্রেস ছাড়ার জন্য বাছাই করে সনিয়া-রাহুলকে বার্তা দিতে চাইল মধ্যপ্রদেশের গুনার এই ৪ বারের সাংসদ, দাবি সূত্রের। এদিন সনিয়াকে পাঠানো চিঠিতে কাজ না করতে পারার কারণ দর্শিয়ে জ্যোতিরাদিত্য লিখেছেন, "আমি জাতীয় কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করছি। গত ১৮ বছর ধরে আমি দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করেছি। কিন্তু এখন সময় এসেছে এগিয়ে যাওয়ার। আমার লক্ষ্য মানুষের জন্য কাজ করা। যা আমি গত সময়ে করে এসেছি, আগামী সময়েও করব। কিন্তু আমার মনে হয়েছে কংগ্রেসে থেকে সেই লক্ষ্যপূরণ করতে পারছি না।" এদিকে সেই পদত্যাগ পত্র প্রকাশ্যে আসার পরই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে টুইট করে কংগ্রেস। 

এদিকে, জ্যোতিরাদিত্যর সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছেন তাঁর পিসি যশোধরা রাজে সিন্ধিয়া। হিন্দিতে তিনি লিখেছেন, জাতীয় স্বার্থে নেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার এই সিদ্ধান্ত সমর্থনযোগ্য। এতে রাজমাতা বিজয়ারাজে সিন্ধিয়ার লক্ষ্যপূরণ করা সম্ভব হবে। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় সোমবার অবধি কমল নাথ সরকারের সঙ্গে ১২০ জন বিধায়কের সমর্থন ছিল। সেখানে বিজেপির সদস্যসংখ্যা ১০৭। সরকার গড়তে প্রয়োজন ১১৫-জন বিধায়কের সমর্থন। যদি ওই ১৮ জন বিধায়ক জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গে বেরিয়ে বিজেপির হাত ধরে সেক্ষেত্রে বিপন্ন হবে কমল নাথের সরকার। সরকার গড়ার দিকে একধাপ এগিয়ে যাবে বিজেপি। ফের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে দেখা যেতে পারে জাতীয় রাজনীতির 'মামাজি' তথা শিবরাজ সিং চৌহানকে।  

.