২২ জন বিধায়ক পদত্যাগ করায় টলমল অবস্থা মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ সরকারের।
ভোপাল:
সে রাজ্যের ২২ জন বিধায়কের পদত্যাগ কংগ্রেস পরিচালিত সরকারকে সঙ্কটের মধ্যে ফেলেছে। গত সপ্তাহে কংগ্রেস সঙ্গ ত্যাগ করে গেরুয়া পতাকা হাতে তোলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সে রাজ্যে সিন্ধিয়া অনুগামী হিসেবে পরিচিত কংগ্রেস বিধায়করা এরপর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও এখনও সবার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি বিধানসভার অধ্যক্ষ।
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের সূচনার দিনেই সোমবার স্লোগান তোলেন কংগ্রেস বিধায়করা। রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনের উদ্বোধনী বক্তৃতার মধ্যেই "কক্ষের মর্যাদাকে সম্মান করুন", এই স্লোগান উঠতে থাকে। সেই হট্টগোলে উদ্বোধনী ভাষণের শেষ পাতা পড়ে কংগ্রেসকে সংবিধান অনুসরণের পরামর্শ দেন রাজ্যপাল।
সবার উচিত সাংবিধানিক রীতি-নীতি মেনে চলা। তাহলেই মধ্যপ্রদেশের মর্যাদা অক্ষত থাকবে। পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি অধ্যক্ষকে সোমবার আস্থা ভোট আয়োজনের আবেদন জানিয়েছিলেন লালজি ট্যান্ডন।
এদিকে, সরকার বাঁচাতে মরিয়া কংগ্রেস সোমবার রাজ্যপাল কক্ষ ছাড়তেই অধিবেশন মুলতুবি রাখতে প্রস্তাব পাঠায়। করোনা সতর্কতা অবলম্বনে অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি করা হোক অধিবেশন। প্রস্তাব পাঠায় ট্রেজারি বেঞ্চ। সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সুর ছড়ায় বিজেপি। "হাম হোঙ্গে কামিয়াব" গান ধরে গেরুয়া শিবির।
সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে ৬ পাতার চিঠি লেখেন। তাতে উল্লেখ করেছনে, আস্থা ভোটের সূচি স্থির করা রাজ্যপালের এক্তিয়ারভুক্ত না।
করোনা, কমল নাথের সরকারকে বাছাবে না। ওই সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। এদিন এমন দাবি করেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
সে রাজ্যের ২২ জন বিধায়কের পদত্যাগ কংগ্রেস পরিচালিত সরকারকে সঙ্কটের মধ্যে ফেলেছে। গত সপ্তাহে কংগ্রেস সঙ্গ ত্যাগ করে গেরুয়া পতাকা হাতে তোলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সে রাজ্যে সিন্ধিয়া অনুগামী হিসেবে পরিচিত কংগ্রেস বিধায়করা এরপর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও এখনও সবার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি বিধানসভার অধ্যক্ষ।
জানা গিয়েছে মাত্র ৬-জন বিধায়কের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। অভিযোগ, "বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বেঙ্গালুরুতে আটক করে রাখা হয়েছিল। ফলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তৈরি হয়েছে সাংবিধানিক সঙ্কট। ওদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে আরও সময় চাই। এই দাবি বিধানসভায় পেশ করেছে কমল নাথ সরকার।
রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, রাজ্যপাল অধ্যক্ষকে কক্ষ পরিচালনার নির্দেশ দিতে পারে না। গত সপ্তাহে কমল নাথ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছিলেন, আটক বিধায়কদের নিরাপদে ভোপালে ফেরাতে উদ্যোগ নিন।
বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় সদস্য সংখ্যা ২২২। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে দরকার ১১২ জন বিধায়কের সমর্থন। সেখানে কংগ্রেসের আছে ১০৮ জন বিধায়ক। আর সহযোগী দলের ৭ জন বিধায়ক। ফলে এই ম্যাজিক ফিগার ধরে আস্থা ভোট হলে সরকার টিকিয়ে রাখতে পারবে কংগ্রেস। অন্যদিকে ২২ জন বিধায়কের পদত্যাগ গৃহীত হলে, ম্যাজিক ফিগার কমে দাঁড়াবে ১০৪। সেখানে বিজেপির ১০৭ জন বিধায়ক নিয়ে কেল্লা ফতে করতে সমর্থ হবে।
এই পরিস্থিতিটে প্রতিটা ভোট এখন গুরুত্বপূর্ণ। এদিন আবার নির্দল বিধায়ক শেরা ভাইয়াকে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বসতে দেখা গিয়েছে। যদিও গত সপ্তাহে এই নির্দল বিধায়ক জয়পুরে কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন।
Post a comment