সনিয়া গান্ধিকে পদত্যাগপত্র পাঠানোর পরেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয় জ্যোতিরাদিত্যকে। (ফাইল ছবি)
হাইলাইটস
- "গান্ধি পরিবার চেষ্টা করলেই জ্যোতিরাদিত্যকে আটকাতে পারত"
- এমন গুঞ্জন কংগ্রেসের অন্দরে। টুইট করে হতাশা প্রকাশ কংগ্রেস নেতার
- মঙ্গলবার সনিয়া গান্ধির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান জ্যোতিরাদিত্য
নয়া দিল্লি: গান্ধি পরিবার চেষ্টা করলে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে (Jyotiraditya Scindia) আটকাতে পারত। কংগ্রেস তরফে এমন হা-হুতাশ শোনা যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কংগ্রেস নেতা বলেন, "গান্ধি পরিবারের (The Gandhis) কেউ ওর বাড়িতে গিয়ে কথা বলে বিষয়টা (Madhya Pradesh Crisis) মিটমাট করে নিতে পারত। যদিও সোয়াইন ফ্লুয়ের অছিলায় কংগ্রেসের কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অনিচ্ছাপ্রকাশ করেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।" এবিষয়য়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কুলদীপ বিষনোইয়ের টুইট, "জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দলত্যাগ কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা। ওকে বোঝাতে শীর্ষ নেতৃত্বের আরও একটু সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন ছিল। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেসের সংগঠনের বড় স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেছেন। উনার মধ্যে গোটা দেশে এমন আরও কংগ্রেস কর্মী আছেন, যারা নিজেদের বঞ্চিত মনে করেন।"
দেখে নিন সেই টুইট:
দলীয় সূত্রের খবর জ্যোতিরাদিত্যের দলত্যাগ কংগ্রেসের দ্বন্দ্বকে প্রকাশ্যে এনে দিল। তরুণ ব্রিগেড বনাম বৃদ্ধতন্ত্র; সঙ্গে গান্ধি পরিবার ঘনিষ্ঠতা; যার বিরুদ্ধেই জ্যোতিরাদিত্যের এই জেহাদ। এই তরুণ কংগ্রেস নেতা রাহুল ঘনিষ্ঠ হলেও মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ- দিগ্বিজয় সিং লবির কাছে প্রাধান্য পেত না। পাশাপাশি দিল্লি থেকে সংগঠন পরিচালনায় সেভাবে সক্রিয় ছিল না হাইকম্যান্ড। সেই সুযোগটাই ব্যবহার করেছে বিজেপি। দ্বন্দ্বের ফাঁক গলে জ্যোতিরাদিত্যকে গেরুয়া শিবিরে টানতে সমর্থ হলেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা।