This Article is From Mar 20, 2020

শুক্রবার দুপুর দুটোয় দুই কমলের যুদ্ধ, আস্থা ভোটে মধ্যপ্রদেশ সরকার বনাম বিজেপি

Floor Test: শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে আস্থা ভোটের মাধ্যমে কমল নাথ সরকারকে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট

শুক্রবার দুপুর দুটোয় দুই কমলের যুদ্ধ, আস্থা ভোটে মধ্যপ্রদেশ সরকার বনাম বিজেপি

Kamal Nath Government: শুক্রবার দুপুর ২ টোর সময় মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় আস্থা ভোট হবে

হাইলাইটস

  • কয়েকজন বিধায়কের পদত্যাগের পর বিধানসভার মোট শক্তি ২০৬-এ এসে দাঁড়িয়েছে
  • কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্যে কমপক্ষে পাঁচ জন বিধায়ক কম রয়েছে
  • ১০৭ বিধায়ক রয়েছে বিজেপির, সংখ্যাগরিষ্ঠের চেয়ে ৩ জন বেশি
ভোপাল:

দুই কমলের রাজনৈতিক যুদ্ধে এবার উত্তপ্ত হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশ। আজ (শুক্রবার) দুপুর দুটোর সময় মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় আস্থা ভোট হওয়ার কথা। সেখানেই দেখা যাবে, ওই রাজ্যে (Madhya Pradesh) বর্তমানে পাল্লা ভারী কোন কমলের, মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের নাকি কমল-প্রতীকের বিজেপির? গতকালই (বৃহস্পতিবার) শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে আস্থা ভোটের (Floor Test) মাধ্যমে কমল নাথ সরকারকে (Kamal Nath Government) নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপির করা এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত জানায় যে মধ্যপ্রদেশের অনিশ্চয়তার পরিস্থিতি কাটাতে আস্থা ভোটের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা উচিত। এই প্রসঙ্গে আদালত (Supreme Court) সাতটি গাইডলাইন দিয়েছে যাতে ওই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াটি নিয়ম মেনে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সম্পন্ন করা যায়। 

সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া গাইডলাইনগুলো হল, প্রথমত ২০ মার্চ মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় অধিবেশন ডাকতে হবে, দ্বিতীয়ত, এই অধিবেশনের একটিই অ্যাজেন্ডা, সরকারের কি সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে? তৃতীয়ত, হাত তুলে বিধায়করা সম্মতি জানাবেন যে তাঁরা কে কে কমল নাথ সরকারের পক্ষে আছেন। চতুর্থত, ভোট গ্রহণের সময় অধিবেশনের সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে এবং ভিডিও করে রাখতে হবে। পঞ্চমত, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটদান সম্পন্ন করতে হবে এবং বিকেল ৫ টার মধ্যে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ষষ্ঠত, মধ্যপ্রদেশ এবং কর্নাটক দুই রাজ্যের ডিজিপিকেই নিশ্চিত ভাবে জানাতে হবে যে, ইস্তফা দেওয়া ১৬ বিধায়কের উপর কোনও জোর খাটানো হচ্ছে না। সপ্তমত, যদি ওই বিধায়করা আস্থা ভোট চলাকালীন রাজ্যে আসতে চান তবে তাঁদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে হবে।

করোনা আতঙ্কে ১০ দিনের ছুটিতে কমল নাথ, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি

চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতির কথা বলে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেয় কমল নাথ সরকার। তারপরেই এর বিরুদ্ধে আদালতে যায় ভারতীয় জনতা দল। সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি অভিযোগ করে, করোনা ভাইরাসের অজুহাত দেখিয়ে ভোট পিছিয়ে দিতে চাইছে কংগ্রেস। এরপরেই শুক্রবার আস্থা ভোট করানোর বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতের মতে, আস্থা ভোটের আগে খুব বেশি সময় দেওয়া হলে ঘোড়া  কেনাবেচার মতো ঘটনা ‌ঘটতে পারে। তাই দ্রুত আস্থা ভোট করানোর পক্ষেই মত দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

"দু'সপ্তাহ পর নয় এখনই," মধ্যপ্রদেশে আস্থা ভোট করাতে অধ্যক্ষকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

সম্প্রতি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পরেই মধ্যপ্রদেশে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়। জ্যোতিরাদিত্য ঘনিষ্ঠ ২২ জন বিধায়ক পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করে অধ্যক্ষর দ্বারস্থ হন। সেই ২২ জনের মধ্যে ৬ জনের ইস্তফা গ্রহণ করেন অধ্যক্ষ এনপি প্রজাপতি।   

মধ্যপ্রদেশ বিধানসভাতে এখন মোট সদস্য সংখ্যা ২২২। সেখানে ম্যাজিক ফিগার ১১২। বিজেপির ১০৭ জন বিধায়ক আর কংগ্রেস ও সহযোগীদের ১১৪ জন। এখন কংগ্রেস বিধায়কদের বেঁকে বসায় বিপাকে কমল নাথ সরকার। কেননা বর্তমান পরিসংখ্যান বলছে, কয়েকজন বিধায়কের পদত্যাগের পর মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার মোট শক্তি ২০৬-এ এসে দাঁড়িয়েছে, এদিকে কংগ্রেস সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্যে কমপক্ষে পাঁচ জন বিধায়কের সমর্থন কম পড়ছে। অন্যদিকে ১০৭ বিধায়ক রয়েছে বিজেপির পক্ষে, যা কিনা সংখ্যাগরিষ্ঠের চেয়ে ৩ জন বেশি।

.