Madhya Pradesh: জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় সঙ্কটে পড়ে কমলনাথ সরকার
হাইলাইটস
- মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ সরকারকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট
- বিজেপির আবেদনের ভিত্তিতেই জবাব তলব করল শীর্ষ আদালত
- বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে
নয়া দিল্লি: আস্থা ভোটের বিষয়ে এবার কমলনাথ (Kamal Nath) সরকারের জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপির আবেদনে সাড়া দিয়েই মধ্যপ্রদেশ সরকারের (Madhya Pradesh) উদ্দেশে ওই নোটিস জারি করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বুধবার ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এর আগে সোমবার দিন করোনা ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের পরিস্থিতির মধ্যে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা স্থগিতের ঘোষণা করে কমলনাথ সরকার। এরপরেই বিজেপি অভিযোগ করে যে, আস্থা ভোটের জন্যে সময় বের করতেই ওই করোনা অজুহাতের আশ্রয় নিয়েছে সরকার। যদিও মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল মঙ্গলবারের মধ্যে কংগ্রেস সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা (Madhya Pradesh crisis) প্রমাণ করার কথা বলেন। রাজ্যপালের ওই নির্দেশের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ বলেন, তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, আস্থা ভোটের জন্যে প্রস্তুতও রয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে একটি চিঠিতে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন বলেন: "আপনি যদি ১৭ মার্চের মধ্যে আস্থা ভোটে অংশ না নেন তবে ধরে নেওয়া হবে যে আপনি এবং আপনার সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলেছেন।"
করোনা আতঙ্কে ১০ দিনের ছুটিতে কমল নাথ, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি
সোমবার রাজ্যপাল বিধানসভা অধিবেশনে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারকে "সংবিধান মেনে চলার" জন্যে অনুরোধ করেন, তখনই বিধানসভায় জোর স্লোগান ওঠে আগে আপনি "বিধানসভাকে সম্মান করুন"। এরপরেই তিনি অধিবেশন থেকে বেরিয়ে যান। এর আগে মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল রাজ্য বিধানসভার স্পিকারকে আস্থা ভোট আয়োজন করার জন্যে পরামর্শ দেন। "মধ্যপ্রদেশের মর্যাদা রক্ষার জন্যে সবাইকে সংবিধানের আওতাভুক্ত আইন অনুসরণ করতে হবে" , বলেন তিনি। হোলির দিন কংগ্রেস সরকার থেকে ইস্তফা দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে কমল নাথ সরকারের বিধানসভা থেকে ইস্তফা দেন জ্যোতিরাদিত্য ঘনিষ্ঠ বিধায়করাও। এর ফলে সঙ্কট ঘনায় ১৫ মাস বয়সী কমল নাথ সরকারের উপর।
"মঙ্গলবার আস্থা ভোট আয়োজিত করুন," কমল নাথকে বললেন মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেসের পক্ষে ১০৮ জন বিধায়কের সমর্থন থাকার কথা, জোটসঙ্গীদের তরফে আরও ৭ জন বিধায়কের সমর্থনও রয়েছে। যদি ২২ জন বিধায়কেরই পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়, তাহলে নতুন করে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে কমল নাথ সরকারকে, কেননা ইস্তফা গৃহীত হলে কংগ্রেসের পক্ষে বিধায়ক সংখ্যা কমে ১০৪ এর কমে চলে যাবে, ওদিকে ১০৭ জন বিধায়ক থাকায় সরকার গড়তে পারবে বিজেপি।