নার্সিংহোমের চূড়ান্ত অব্যবস্থার জেরে মৃত্যু হল মধ্যপ্রদেশের এক মহিলার (MP Woman)। সম্প্রতি রাজ্যের উজ্জয়নের এক মর্মান্তিক ঘটনাকে ঘিরে এমন অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, বছর ৫৫-এর ওই মহিলাকে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে সেই নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু নার্সিংহোমের স্বাস্থ্যকর্মীরা আইসিইউ রুমের চাবি (ICU) হারিয়ে ফেলেন। সেটা খুঁজতে গিয়েই চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয় সেই মহিলার। মৃতার পরিবারের তরফে এমনই অভিযোগ। জানা গিয়েছে, শহরের (Ujjain) এক জেলা হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ভর্তি করা হয়েছিল সেই মহিলাকে। সেখানে পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে মাধব নগর এলাকার এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেই হাসপাতাল উজ্জয়নের বিশেষ করোনা (Corona) কেয়ার হাসপাতাল। শুক্রবার করোনা সংক্রমণ সন্দেহে করা হয়েছিল তাঁর নমুনা পরীক্ষা। যার রিপোর্ট আসা এখনও বাকি। ইতিমধ্যে সেই মহিলার পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়। শনিবার তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে আসা হয় অভিযুক্ত নার্সিংহোমে।তখনই উদ্ধার উদ্ধার হয় তালাবন্দি সেই আইসিইউ রুম।
৮ এপ্রিল সর্বদলীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী, থাকছে না তৃণমূল
এরপর খোঁজ শুরু হয় চাবির। কিন্তু চাবি খুঁজে না পেয়ে তালা ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কর্মীরা। এই টানাপোড়েনে ও চিকিৎসার অভাবে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন সেই মহিলা। কোনওক্রমে তালা ভেঙে সেই মহিলাকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করলেও, শেষ রক্ষা হয়নি বলেই অভিযোগ পরিবারের। শহরের মুখ্য স্বাস্থ্যকর্তা অনুসূয়া গাউলি বলেছেন, "একাধিক ব্যাধি নিয়ে সেই মহিলা ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর হাইপার টেনশন, ডায়বেটিসের মতো সমস্যা ছিল। তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছিল। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এই মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।"
দেশের করোনায় আক্রান্ত ৪২ শতাংশেরই বয়স চল্লিশের নীচে
জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর মাধবনগর হাসপাতালের দুই চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, "সেই মহিলাকে নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করার সময় দেওয়া হয়নি ভেন্টিলেটর। একইভাবে অপর এক রোগীকেও ভেন্টিলেটর ছাড়াই রেখে দেওয়া হয়েছিল। পরে তাঁর ও মৃত্যু হয়।" কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, "মধ্যপ্রদেশে সংক্রমিত ১০০ জন আর মৃত ৬।"