ছেলেদের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যায় এগিয়ে মেয়েরা। (প্রতীকী)
হাইলাইটস
- আজ থেকে 22 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা
- পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে ১১.৪৫ মিনিটে প্রশ্নপত্রের সিল খোলা হবে
- পরীক্ষা চলাকালীন যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রশাসন
কলকাতা: আজ থেকে শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক। এই বছর ছেলেদের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রতিবারের মতোই এই বছরেও দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক পরীক্ষার আয়োজন করেছে। পর্ষদের তরফে সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে সোমবার জানিয়েছেন এই বছর ৫৬.৬৫% মেয়ে এবং ৪৩.৩৫% ছেলে রেগুলারে পরীক্ষা দিচ্ছে। আজ থেকে 22 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা।
কল্যাণময় গাঙ্গুলি জানিয়েছেন পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে ১১.৪৫ মিনিটে প্রশ্নপত্রের সিল খোলা হবে। কোনও রকম অসৎ পদ্ধতি অবলম্বন রুখতে পরীক্ষার্থীদের কোনও অতিরিক্ত উত্তরপত্র আগে থেকে দেওয়া হবে না সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে।
আরও পড়ুনঃ শেষ হল বইমেলা, গত বছরের থেকেও বেশি বিক্রি এবার, লোক হয়েছে ১৬ লক্ষ, জানাল গিল্ড
পরীক্ষা চলাকালীন যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য তৈরি প্রশাসন। বেশ কয়েক বছর ধরে মাধ্যমিক পরীক্ষা ঘিরে গণ টোকাটুকির মতো ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। তা বন্ধ করতে সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা করে রেখেছে পর্ষদ। এ ধরনের প্রবণতায় রাশ টানতে ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রবেশ বন্ধ হয়েছে আগেই। এবার আরও কড়া হল নিয়ম। এখন থেকে পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষক- পরীক্ষকরাও মোবাইল নিজেদের সঙ্গে রাখতে পারবেন না। পরীক্ষা শুরুর আধ ঘণ্টা আগে মোবাইল জমা দিতে হবে সরকারি আধিকারিককে। এ কথা জানান পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে একজন সরকারি আধিকারিক থাকছেন। কেন্দ্রটিতে পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে শেষ করা তাঁর দায়িত্ব। তাই পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হতে চলেছে বলে পর্ষদ জানিয়েছে।
সভাপতি জানান কেউ যদি এই নিয়মের পালন না করেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে। পড়তে হবে শাস্তির মুখে। ছাত্র - শিক্ষক মোবাইল রাখতে না পারলেও প্রতিটি কেন্দ্রের দায়িত্বে যে সরকারি আধিকারিক থাকবেন তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যেই মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন। শিক্ষকদের উপর এই নিয়ম লাগু হওয়ার একটি নির্দিষ্ট কারণ আছে বলে পর্ষদ সূত্রে খবর। আর তার জন্য গত বছরের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। আগের বছর জলপাইগুড়ির একটি স্কুলে মারাত্মক অভিযোগ ওঠে। অন্য কেউ নন খোদ প্রধান শিক্ষকই অভিযুক্ত হন। স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক দাবি করেন এক বিশেষ ছাত্রকে অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন তিনি। আগে থেকে প্রশ্নের উত্তর জানানোর ব্যবস্থা করছেন। শুধু তাই নয় চাপ দিয়ে অন্য শিক্ষককে কাজে লাগিয়ে উত্তরও লিখিয়ে নিচ্ছেন। প্রাথমিক তদন্তের পর তাঁকে সাসপেন্ড পর্যন্ত করে দেয় মাধ্যমিক পর্ষদ। এবার তাই বাড়তি সতর্ক পর্ষদ কর্তারা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)