প্রকাশিত হল চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও লকডাউন আবহের মধ্যে জীবনের প্রথম বড় আকাদেমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশ নিয়ে আশঙ্কা ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছিলেন অসংখ্য পড়ুয়া। ১৩৯ দিনের মাথায় ফলপ্রকাশ হচ্ছে এই বছর। সকাল ১০ টায় পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিক ফলপ্রকাশ করে জানান, চলতি বছরে ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছাত্রদের থেকে ১,২৭ ৬৭০ জন বেশি। যদিও সাফল্যের হারে সামান্য পিছিয়ে ছাত্রীরা। সফল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এই বছর ৮,৪৩,৩০৫। গতবছর পাসের হার ছিল ৮৬.০৭%। এই বছর পাসের হার ৮৬.৩৪%। মেয়েদের উত্তীর্ণ হওয়ার হার ৮৩.৪৮%, ছাত্রদের ক্ষেত্রে এই হার ৮৯.৮৭%
পূর্ব মেদিনীপুর পাসের নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে। পাসের হার এইজেলায় ৯৬.৫৯%। পশ্চিম মেদিনীপুরে এই হার ৯২.১৬%। কলকাতায় ৯১.০৭%। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৯০.৬০% উত্তর ২৪ পরগনায় ৯০.০৫%, হুগলিতে ৮৮.৫৭%, হাওড়ায় ৮৭.৭৩% পাসের হার।
সরকারি ওয়েবসাইট - wbbse.org এবং wbresults.nic.in এ সকাল ১০.৩০ থেকে নিজেদের ফলাফল দেখতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবছর মধ্যমিক পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা হয়েছে। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৩ হাজার ৬৬৬। তবে কোভিড -১৯ এর বিস্তারকে রোধ করতে লকডাউনের কারণে ফলাফল ঘোষণা বিলম্বিত হয়েছে। গত বছর, পর্ষদের ওয়েবসাইটে দশম শ্রেণির ফলাফল ২১ মে ঘোষণা করা হয়েছিল। গত বছরও প্রায় ১০ লাখ পরীক্ষার্থী মধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন। তবে পর্ষদ সূত্রে খবর, করোনা আবহে আজই ফলপ্রকাশের পরেই মার্কশিট মিলবে না হাতে। স্কুল থেকে আগামি ২২ এবং ২৩ জুলাই মার্কশিট বিতরণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই করোনা আবহে পরীক্ষার্থীরা নিজেরা স্কুলে গিয়ে মার্কশিট নিতে পারবেন না। নথিপত্র দেখিয়ে অভিভাবকদের স্কুল থেকে সেই শংসাপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশের তারিখও ঘোষণা করেছেন। দ্বাদশ শ্রেণির এই পরীক্ষার ফলাফল ১৭ জুলাই ঘোষণা করা হবে।