এদিন ,সন্ধ্যায় ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ও বর্ষীয়ান নেতারা
ভোপাল: জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) তাঁর অনুগামী ১৭ জন বিধায়ককে বেঙ্গালুরু উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পরেই, এদিন সন্ধ্যায় বৈঠক করে কংগ্রেস, বিজেপি দুই শিবিরই, গভীর সঙ্কটে পড়ে যায় মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কংগ্রেস সরকার। মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ইঙ্গিত দেন, মন্ত্রিসভার সদস্যদের ইস্তফার মাধ্যমে পাল্টা দেবেন তিনি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ৬জনও ছিলেন সেই দলে। এদিন সন্ধ্যার বৈঠকের পর পদত্যাগ করেন ২০ জন মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানায়, “সেই সমস্ত শক্তিকে আমি জয়ী হতে দেব না, যারা মাফিয়াদের সাহায্য অস্থিরতা তৈরি করছে”। তাঁর কথায়, “আমার সবচেয়ে বড় শক্তি হল বিশ্বাস এবং মধ্যপ্রদেশের মানুষের ভালবাসা। সেই সমস্ত শক্তিকে আমি জয়ী হতে দেব না, যারা সরকারে অস্থিরতা তৈরি করছে, মধ্যপ্রদেশের মানুষের তৈরি যে সরকার”।
এদিন সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ (Kamal Nath), প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দ্বিগ্বিজয় সিং এবং রাজ্যসভার সদস্য বিবেক তানখা। বিজেপি শিবিরেও পাল্টা বৈঠক হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের অন্যতম নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহ্বাণও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়িতে বৈঠকটি হয়। শক্তিপ্রদর্শনের জন্য তাদের বিধায়কদের ভোপালে ডেকে পাঠিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের বৈঠক হতে পারে। সূত্রের খবর, বৈঠকেই শিবরাজ সিং চোহ্বাণকে দলের পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত করা হতে পারে।
রবিবার রাতে দিল্লি উড়ে যান কমল নাথ, এদিন সন্ধ্যায় ভোপাল ফেরেন তিনি, দলের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি সহ শীর্ষ নেতাদের বৈঠক করেছেন কমল নাথ।
ভোপাল ছাড়ার আগে, সাংহাদিকদের কমল নাথ বলেন, দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেছেন তিনি এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে কাকে রাজ্যসভায় পাঠানো হবে, তা নিয়ে পুরো ঐক্যমত রয়েছে।
দলের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্বও অস্বীকার করেন তিনি, গত সপ্তাহে ১০ জন বিধায়ক নিখোঁজ হওয়ায় সেই বিষয়টিই মূল বিষয় হয়ে উঠেছিল। কয়েকজনকে নাটকীয়ভাবে মধ্যরাতে “উদ্ধারের” পর, বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগে কংগ্রেস, বলা হয়, রাজ্যের নির্বাচিত সরকার ফেলে দিতে চাইছে বিজেপি।
তবে সোমবার সন্ধ্যায়, প্রদ্যুম্ন সিং তোমর, ইমারতি দেবী, প্রভুরাম চৌধুরি, গোবিন্দ সিং রাজপুত, তুলসী তিলওয়াত এবং মহেন্দ্র সিং সিসোদিয়া এবং ১১ জন বিধায়ক, যাঁদের বেশিরভাগই গোয়ালিয়র-চম্বল অঞ্চলের, হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ এই সমস্ত বিধায়কদের ফোন সুইচ অফ ছিল।
আরও দুই কংগ্রেস বিধায়ক, এইচএস দাং এবং রঘুরাজ কানসানা, ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন, ফলে মোট নিখোঁজ বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়াল ২০।
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্র NDTV কে জানিয়েছে, রাজ্যসভায় জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে প্রথম পছন্দ হিসেবে ফর্মূলা তৈরি করা হবে। তাঁর ঘনিষ্ঠ তথা দলিত মুখ, তুলসী সিলাওয়াতকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হতে পারে। যদিও এর কোনও স্বীকারোক্তি নেই।