মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের দাবি, আস্থা ভোটে জয়ের মতো সংখ্যা রয়েছে তাঁর।
নয়াদিল্লি:
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় আস্থা ভোট নিয়ে মধ্যরাতে চিঠি দিয়েছে রাজ্যপাল, সোমবার আস্থা ভোট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। সেই চিঠিতে রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন, বিধানসভার অধ্যক্ষ নর্মদা প্রসাদ প্রজাপতিকে সোমবার আস্থা ভোট করাতে বলেছেন। রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ জয়সওয়াল বলেন, “আগামিকালই আস্থা ভোট করাতে হবে, তার কোনও মানে নেই, এখন তো করোনা চলছে”। গত সপ্তাহে ইস্তফা দেওয়া ২২ জন বিধায়কের আইনি অবস্থান নিয়ে আলোচনা করতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গে আলোচনা করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, শিবরাজ সিং চৌহ্বাণ সহ বিজেপি নেতারা। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ২২ জন বিধায়ক পদত্যাগ করায় পতনের মুখে দাঁড়িয়ে কমল নাথ সরকার। ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই একপেশে হয়ে থাকার পর, বিজেপিতে যোগ দান করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের দাবি, আস্থা ভোটে জয়ের মতো সংখ্যা রয়েছে তাঁর। এদিন সকালে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর, রাজ্যের মন্ত্রী এবং নির্দল বিধায়ক প্রদীপ জয়সওয়াল বলেন, “আমাদের সংখ্যা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আত্মবিশ্বাসী। অপেক্ষা করুন এবং দেখুন”।
সোমবারের আস্থা ভোটের আগে, বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে দেখা করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
পরে, পদত্যাগ করা বিদ্রোহী ২২জন বিধায়ক সম্পর্কে আলোচনা করতে সলিসিটরজেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহ্বাণকে নিয়ে দেখা করেন তাঁরা।
রাজ্যপালের নির্দেশমতো সোমবারের আস্থা ভোটের কথা মাথায় রেখে, তাদের দলের সমস্ত বিধায়ককে ভোপালে নিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। জয়পুরের একটি হোটেলে রাখা হয়েছিল তাঁদের।
রবিবার মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ডাকা মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর, কংগ্রেস জানায়, বেঙ্গালুরুতে বিধায়কদের “অপহরণ” করা হয়েছিল এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
রাজ্যের এক মন্ত্রী বলেন, “তাঁদের অনেকেই বেরিয়ে আসতে চান, যদিও তাঁদের ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়েছে”। বিষয়টিকে জাতীয় ইস্যু বলে মন্তব্য করে কংগ্রেস জানায়, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে তারা।
কংগ্রেসের অভিযোগের পর, ভিডিও পাঠিয়েছেন অনেক বিদ্রোহী বিধায়ক, নিজেদের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে পদত্যাগের কারণ জানিয়েছেন বিধায়করা।
এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে, পিসি শর্মা বলেন, “আমাদের বিধায়কদের লুকিয়ে রেখেছে তারা”।
শনিবার স্থানীয় একটি মন্দিরে তন্ত্রপুজো করেন ওই মন্ত্রী।
মধ্যপ্রদেশ বিধায়নসভায় কংগ্রসের রয়েছে ১০৮ জন বিধায়ক, জোটসঙ্গীদের তরফে সাতজন বিধায়কের সমর্থনও রয়েছে। যদি ২২ জন বিধায়কেরই পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়, তাহলে তাহলে নতুন করে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সংখ্যা ১০৪ এর কম হয়ে যাবে কংগ্রেসের শক্তি, ১০৭ জন বিধায়ক থাকায় সরকার গড়তে পারবে বিজেপি।
প্রথমে ১২০জন বিধায়ক ছিল মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের, ২৩০ বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিল ১১৬ জন বিধায়ক।
Post a comment