This Article is From Dec 01, 2019

বিজেপি প্রার্থী প্রত্যাহারের ফলে এবার মহারাষ্ট্রের অধ্যক্ষ হতে চলেছেন কংগ্রেসের নানা পাতোলে

Maharashtra Assembly: বিদর্ভের সাকোলি বিধানসভা থেকে এই নিয়ে চতুর্থবার নির্বাচিত হন নানা পাতোলে

বিজেপি প্রার্থী প্রত্যাহারের ফলে এবার মহারাষ্ট্রের অধ্যক্ষ হতে চলেছেন কংগ্রেসের নানা পাতোলে

Maharashtra Speaker: বিদর্ভের সাকোলি বিধানসভা থেকে এই নিয়ে চতুর্থবার নির্বাচিত হন নানা পাতোলে

মুম্বই:

মহারাষ্ট্র (Maharashtra) আগেই নিজেদের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে কিষাণ কাঠোরের (Kisan Kathore) নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিজেপি । এর ফলে কংগ্রেস বিধায়ক নানা পাতোলে এই নির্বাচনে একমাত্র প্রার্থী, ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহারাষ্ট্র বিধানসভার (Maharashtra Assembly) অধ্যক্ষ হিসাবে (Maharashtra Speaker) না-কংগ্রেস-এনসিপি জোট আস্থা ভোটে পাস করার একদিন পরেই আজ (রবিবার) অধ্যক্ষ পদে নির্বাচন নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। ২৮৮ সদস্যের বিধানসভায় প্রায় ১৬৯ জন বিধায়ক জোটের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, পাশাপাশি আস্থা ভোটের আগে বিজেপির ১০৫ জন বিধায়ক বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। বিদর্ভের সাকোলি বিধানসভা থেকে এই নিয়ে চতুর্থবার নির্বাচিত হন নানা পাতোলে (Nana Patole)। 

নানা পাতোলে, যিনি প্রথম থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে থাকলেও, কয়েকবছর আগে ওই দল ছেড়ে দেন এবং বিজেপির টিকিটে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়লাভ করেন। তিনি ভাণ্ডারা-গোন্ডিয়া আসন থেকে এনসিপির প্রভাবশালী নেতা প্রফুল্ল প্যাটেলকে হারান। তবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তাঁর বিরোধ বাঁধে, সেই সময় তিনি বিজেপি ত্যাগ করে কংগ্রেসে ফিরে আসেন।

বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই আজ মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ নির্বাচন

শনিবার, অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ কালিদাস কোলাম্বকারকে সরিয়ে অস্থায়ী অধ্যক্ষ হিসেবে এনসিপির দিলীপ ওয়ালসে পাতিলকে নিয়োগ করার বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই প্রতিবাদ করেই দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এমনকি ঘটনার প্রতিবাদে আস্থা ভোটের আগে মহারাষ্ট্র বিধানসভা থেকে ওয়াকআউটও করে বিজেপি।

তবে প্রাক্তন কৃষিনেতা পাতোলের মনোনয়নকে অনেকেই রাজ্যের কৃষক সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছানোর প্রয়াস হিসাবে দেখেছে। তাঁর মনোনয়নের পিছনে এই সূত্রও কাজ করছে যে তাঁর দল কংগ্রেস বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে চায়। কারণ বেশিরভাগ এনসিপি এবং কংগ্রেস নেতারাই পশ্চিম মহারাষ্ট্রের।

কংগ্রেস নেতা মানিকরাও ঠাকরে শনিবার বলেন, "গণতন্ত্রের (প্রার্থী দেওয়ার পক্ষে) নিয়মে ওঁদের (বিজেপি) প্রার্থী দেওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে মহারাষ্ট্রের ঐতিহ্য এটাই যে এখানে সবসময় অধ্যক্ষ বা স্পিকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। আমরা আশা করি সেই ঐতিহ্য অব্যাহত থাকবে"। 

মহারাষ্ট্রে আস্থাভোটে জয়ী শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট

এদিকে বিজেপি যাঁকে অধ্যক্ষ পদের জন্যে মনোনীত করেছিল সেই কিষাণ কাঠোরে ২০০২ সালে থানে জেলা পরিষদ সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৪ সালে থানের অম্বরনাথ থেকে এনসিপির টিকিটে প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হন ।

তিনি মুরবাদ থেকে ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিনি বিজেপির টিকিটে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

কী হচ্ছে দেশজুড়ে, জানতে দেখুন এই ভিডিও:

.