Maharashtra assembly election results 2019: শরদ পাওয়ার তাঁর পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণ মুম্বইয়ের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন
হাইলাইটস
- শরদ পাওয়ার "সরকার পরিবর্তনের" ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন
- যুব সমাজের মর্জি "পুরোপুরি বিজেপি-সেনার বিরুদ্ধে", বলেন তিনি
- মহারাষ্ট্রের ২৮৮ টি আসনের মধ্যে ১২১ আসনে এনসিপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে
মুম্বই: আজ (বৃহস্পতিবার) জানা যাবে মহারাষ্ট্রে জনাদেশ (Maharashtra assembly election results 2019) কোন জোটের পক্ষে যাচ্ছে, বিজেপি-শিবসেনা জোটের পক্ষে, নাকি কংগ্রেস-ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির জোটের পক্ষে! মহারাষ্ট্র নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রচারে কার্যত নেতৃত্ব দানকারী শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) সে রাজ্যে "সরকার পরিবর্তনের" পূর্বাভাস দিয়েছেন।
সোমবার ভোটগ্রহণের দিন, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) নেতা ভোটারদের "কোনও চাপ ছাড়াই" তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানান।
"আমি সবাইকে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বিপুল সংখ্যক ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি, এই ভোটদান আসলে গণতন্ত্রের উৎসবের উদযাপন," নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে এমনটাই বলেছিলেন শরদ পাওয়ার ।
মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার ভোটগণনা, আশায় বিজেপি:১০টি তথ্য
এনসিপি মহারাষ্ট্র বিধানসভার ২৮৮ টির মধ্যে ১২১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে; আর তার জোট শরিক কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৪৭ টি আসনে । যদিও নির্বাচনের আগের কয়েক মাসে উভয় দলের কর্মীদেরই প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক হিংসায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
এদিকে শিবসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করা বিজেপি বৃহস্পতিবার ফলাফল ঘোষণার পরে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।
সোমবার শরদ পাওয়ার, তাঁর নাতনি রেবতী সুলে এবং জামাই সদানন্দ সুলেকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ মুম্বইয়ের একটি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের ভোট দেন।
বিজেপি-শিবসেনা জোট সম্পর্কে তিনি বলেছেন, "আমি মনে করি না তাঁরা ক্ষমতায় ফিরে আসবে" । একসময়ে রাজ্যের কনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শাসন করা এনসিপি প্রধান বলেন, "কংগ্রেস, এনসিপি এবং তাদের জোটসঙ্গীরা খুব ভাল সাড়া পাচ্ছেন। সেই প্রতিক্রিয়া অবশ্যই সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে" ।
ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং শিবসেনার তীব্র প্রচারের তুলনায় বিরোধী দলের দুর্বল প্রচারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই অভিজ্ঞ নেতা বলেন: "আমাদের এখানে বলা হয়েছিল এটি কোনও নির্বাচন নয়, এটি একতরফা খেলা। যদি সবকিছু একতরফা হয়, তবে প্রচারের দরকার ছিল? প্রত্যেকেই এখানে একেবারে শেষের দিকে প্রচার চালিয়ে, অর্থ ব্যয় করে, সমস্ত রকম ভাবে ভোটারদের মন পাওয়ার চেষ্টা করেছে"।
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে ভোট গণনায় কড়া নিরাপত্তা, মোতায়েন ২৫,০০০ নিরাপত্তাকর্মী
শরদ পাওয়ার দাবি করেন যে তরুণ প্রজন্মের পছন্দ "পুরোপুরি বিজেপি-শিবসেনার বিরুদ্ধে" এবং তাঁরা সে রাজ্যে পরিবর্তন চায়। "সমস্ত সেক্টর সঙ্কটে রয়েছে - কৃষি হোক বা শিল্প, সব কিছুর উন্নয়নই এখানে বন্ধ হয়ে গেছে। আমি এই রাজ্য সফর করেছি এবং অনুভব করেছি যে বিশেষত যুবকরা এখানে পরিবর্তন চায়", বলেন তিনি।
এনসিপি নেতা একথা ফের একবার জোর দিয়ে বলেন যে: "বিরোধী দলের ক্ষমতায় থাকার প্রশ্নই আসে না। আমরাই ক্ষমতায় আসছি।"