Read in English
This Article is From Jan 01, 2020

মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার বেশীরভাগই পরিবারতান্ত্রিক, তালিকার শীর্ষে কংগ্রেস

Maharashtra Cabinet Expansion: মহারাষ্ট্রে ৪৩ জন মন্ত্রীর মধ্যে, উদ্ধব ঠাকরেও পরিবারগতভাবে এসেছেন, কংগ্রেসের ১২ জনের মধ্যে ৮ জন পরিবারতান্ত্রিক

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
মুম্বই:

সোমবার মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় ( Maharashtra Cabinet) এলেন ৪৩ জন সদস্য, তারমধ্যে নতুন করে শপথ নিলেন শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপির ৩৬ জন সদস্য। মহারাষ্ট্রের ৪৩ জন মন্ত্রীর শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেও (Uddhav Thackeray) পরিবারগতভাবে এসেছেন। মন্ত্রিসভায় কংগ্রেসের ১২ জনের মধ্যে ৮ জন পরিবারতান্ত্রিক। কংগ্রেসের ১২ জনের মধ্যে পরিবারগতভাবে আসা ৮ জনের মধ্যে রয়েছেন বালাসাহেব থ্রোট, অশোক চৌহ্বাণ, অমিত দেশমুখ, এবং সতেজ পাতিল। মন্ত্রিসভায় এনসিপির রয়েছেন ১৬ জন সদস্য। সোমবারই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার তার একমাসে আগে বিজেপির পক্ষ নিয়ে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রী হন তিনি, যদিও ৮০ ঘন্টার মধ্যেই সেই সরকার পড়ে যায়। তাঁর দলের ৬ জন এসেছেন পরিবারগতভাবে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অদিতি তাতকারে, ধনঞ্জয় মুণ্ডে, এবং প্রজাক্ত তানপুরে।

কেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস বিধায়ক দু'বার শপথ বাক্য পড়লেন?

মন্ত্রিসভায় শিবসেনার রয়েছেন ১৫ জন সদস্য, তাদের দলেরই সবচেয়ে কম সংখ্যাক সদস্য পরিবারগতভাবে মন্ত্রী হয়েছেন, তবে তিনজনের সেই তালিকায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং তাঁর ছেলে আদিত্য ঠাকরে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা যাই করি না কেন, আমরা তা সরাসরি করি না। আমাদের লুকানোর কিছুই নেই”।  

Advertisement

সোমবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের পর তিনদলের অনেকেই হতাশ হন।

ইস্তফা দিতে যাচ্ছিলেন এনসিপি নেতা প্রকাশ সোলাঙ্কি, তবে অজিত পাওয়ার ও জয়ন্ত পাতিলের অনুরোধের পর, সেই পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকেন তিনি। তাঁর কথায়, “প্রাথমিকভাবে আমি হতাশ ছিলাম, কারণ, বিড জেলার জন্য আমি অনেক কিছু চেয়েছিলাম। এমনকী, আমি ইস্তফা দিতে যাচ্ছিলাম। তবে শরদ পাওয়ার এবং প্রত্যেকেই আমায় বোঝান। এখন ঠিক আছে”। 

Advertisement

এই সরকার পূর্ণ মেয়াদ থাকবে, কী বললেন আদিত্য ঠাকরে?

প্রকাশ সোলাঙ্কির সঙ্গে কথা বলার পর অজিত পাওয়ার বলেন, “এটা একটা বড় পরিবার, এই ধরণের ঘটনা ঘটেই, আমরা দলের সুপ্রিমোর সঙ্গে কথা বলেছি।  কোনও ব্যাপার নয়, এবং সমস্যা চিহ্নিত করা গিয়েছে”।

Advertisement

শিবসেনা নেতা তথা সঞ্জয় রাউতের ভাই, সুনীল রাউতও প্রাথমিকভাবে হতাশ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে, তবে পরে তিনি NDTV কে জানান, দলীয় সুপ্রিমোর নির্দেশ মেনে চলবেন তিনি।

মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং বালাসাহেব থ্রোটের কাছে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ  করেছেন কংগ্রেস নেতারা। মন্ত্রিসভার ঠাঁই না পাওয়ায় হতাশ কংগ্রেস নেতাদের সম্পর্কে অশোক চৌহ্বাণ বলেন, “এটা খুবই ছোটো ব্যাপার। অনেক নেতা রয়েছেন, এবং মন্ত্রী কম”।

Advertisement