Maharashtra assembly election 2019: শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বিজেপিকে ৫০:৫০ চুক্তির সম্মান জানাতে বলেন
হাইলাইটস
- মুম্বইয়ের উদ্ধব ঠাকরের বাসভবনে শিবসেনা বিধায়কদের মধ্যে বৈঠক হয়
- শিবসেনা চায় বিজেপি নির্বাচনের আগে করা ৫০:৫০ চুক্তিকে সম্মান করুক
- নির্বাচনে বিজেপি-শিবসেনা ১৬১ আসন পেয়েছে ও কংগ্রেস-এনসিপি পেয়েছে ৯৮ আসন
মুম্বই: মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার গঠনে দু'পক্ষের মধ্যে পদ ভাগাভাগির বিষয়ে দ্বিমত তৈরি হওয়ায় শিবসেনা তাঁদের জোটসঙ্গী বিজেপির কাছ থেকে লিখিত আশ্বাসের দাবি করেছে। দলীয় প্রধান উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন মাতোশ্রিতে এক বৈঠকে বসেন ওই দলের সেনার ৫৬ জন বিধায়ক। তাঁরা দাবি করেন যে, বিজেপির লেটারহেডে, গেরুয়া জনের নেতৃত্বের স্বাক্ষরিত চিঠি দিতে হবে। যে চিঠি নিশ্চিত করবে যে এই বছরের শুরুর দিকে লোকসভা নির্বাচনের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে যে শিবসেনা প্রধানের মধ্যে হওয়া ৫০:৫০ চুক্তিকে সম্মান করবে বিজেপি। "আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে অমিত শাহ জি যেমন লোকসভা নির্বাচনের আগে ৫০-৫০ সূত্রের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা মেনেই দুই দলেরই আড়াই বছর করে সরকার পরিচালনার সুযোগ পাওয়া উচিত। সুতরাং শিবসেনারও থেকেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত। বিজেপির কাছ থেকে এই বিষয়ে লিখিতভাবে আশ্বাস পাওয়া উচিত উদ্ধব জির", বলেন ওভালা-মাজিওয়াদার বিধায়ক তথা শিবসেনা নেতা প্রতাপ সারনায়েক।
শুক্রবারই শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বিজেপিকে দুই দলের মধ্যে হওয়া ৫০:৫০ চুক্তির সম্মান জানাতে বলেন।
বৃহস্পতিবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই শিবসেনা বিজেপি-র উপর মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে চাপ বাড়িয়েই চলেছে। ফলাফল ঘোষণার পরের দিন অদিত্য ঠাকরেকে "ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী" বলে উল্লেখ করে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দেওয়া হয়।
২৯ বছর বয়সী আদিত্য ঠাকরে দক্ষিণ মুম্বইয়ের ওরলি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তাঁর পরিবারের প্রথম সদস্য । তিনি ৬৬ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করে নির্বাচিত হন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি ও অমিত শাহ দুজনেই বলেছেন মহারাষ্ট্রে দ্বিতীয় মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিসই। যদিও শিবসেনা চাইছে আড়াই বছরের মেয়াদে দুই দল থেকেই একজন করে মুখ্যমন্ত্রী হোক।
"কিছু সরকার ৫ বছর পরেও ফিরে আসে":হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের জয়ে বললেন মোদি
এদিকে ফাঁকতালে শিবসেনাকে সমর্থন জানানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রে মানুষের অপ্রত্যাশিত সমর্থন পেয়ে দলটি সেখানে তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে, তাঁরা জিতেছে ৫৪ টি আসন । প্রবীণ রাজনীতিবিদ শরদ পাওয়ারও বলেন যে শিবসেনার দাবিতে কোনও ভুল নেই।
এবং ২৮৮ সদস্যের এই আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় মোট ১৬১ টি আসন পেয়েছিল ওই জোট। কিন্তু তারপরেই আসন্ন সরকারের পদ পাওয়া নিয়ে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে দুটি দল। বিজেপি জিতেছে ১০৫ টি আসনে, অন্যদিকে ৫৬ টি আসন পেয়েছে শিবসেনা।
শিবসেনা আপাতত এই সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজছে। কিন্তু দেবেন্দ্র ফড়নবিস, যিনি তাঁর নাগপুর (দক্ষিণ পশ্চিম) আসনে জয়ী হয়েছেন, তিনি শিবসেনার বায়নাক্কায় আমল দিতে রাজি নন। তিনি এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন যে প্রয়োজনে সরকার গড়তে বিজেপি নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন নেবে।
হরিয়ানায় আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন খাট্টার, উপ-মুখ্যমন্ত্রী চৌতালা
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের দাবি অনুযায়ী তিনি বলেছেন যে, "১৫ জন নির্দল বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং তাঁরা আমাদের সঙ্গে আসতে প্রস্তুত। অন্যরাও আসতে পারেন তবে এই ১৫ জন অবশ্যই আমাদের সঙ্গে আসবেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই বিজেপি এবং শিবসেনারই বিক্ষুব্ধ বিধায়ক"।
এদিকে, এনসিপিও তার বিকল্পগুলি খোলা রাখছে, যদিও কোন পক্ষকে তাঁরা সমর্থন করবে তা স্পষ্ট করে জানায়নি তাঁরা। এনসিপি যদি শিবসেনাকে সমর্থন দেয়, তবে বিজেপির চেয়ে দু'জনেরই মিলিত আসন সংখ্য়া কিছুটা বেশি হবে, কিন্তু কোনও দলেরই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে না।