This Article is From Nov 06, 2019

বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিজেপি, আবারও ৫০-৫০ দাবি শিবসেনার

Maharashtra government: সঙ্কট কাটাতে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের ডাকা বৈঠকেযোগ দেন শিবসেনার ৬জন মন্ত্রী। সূত্রের খবর, বৈঠকে সরকার গঠনের ফর্মূলা নিয়ে আলোচনা হয়

মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বৈঠকে যোগদান করেন শিবসেনার ৬ জন মন্ত্রী

মুম্বই:

প্রথমবার বৈঠক বিজেপি ও শিবসেনার (BJP and Shiv Sena) মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের (Government Formation in Maharashtra) আর দুদিন বাকি, এই পরিস্থিতি বুধবার দুই বিবাদমান জোটসঙ্গীর বৈঠক। শিবসেনার সঙ্গে কোনওরকম জোটের সম্ভাবনা খারিজ করে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, দুই দলের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ করে সরকার গঠন করা উচিত দুই দলের এবং রাজ্যকে সাংবিদানিক সঙ্কট থেকে বাঁচানো উচিত। চলতি সঙ্কট নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বৈঠকে যোগদান করেন শিবসেনার ৬ জন মন্ত্রী। বৈঠকে, সরকার গঠনের ফর্মূলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের সময় এগিয়ে আসায় "ষড়যন্ত্র" করছে বিজেপি, অভিযোগ শিবসেনার

২৪ অক্টোবর মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে, এই প্রথমবার মুকোমুখি বৈঠক হল বিজেপি ও শিবসেনার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিবসেনার মন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে এবং রামদাস কাড়াম। বৈঠকের পর, বিজেপি নেতা সুধীর মুঙ্গাতিওয়ার বলেন, “আপনি জলকে আলাদা করতে পারবেন না, যতই চেষ্টা করা হোক না কেন। শিবসেনা ও বিজেপি একসঙ্গেই রয়েছে...খবরের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, ভাল খবর আসতে পারে যে কোনও সময়ে”।

কয়েকঘন্টা পরেই, শিবসেনার সঙ্গে কীভাবে মন্ত্রীদের দফতর ভাগ করা যায়, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে আলোচনা করেন বিজেপি মন্ত্রীরা। নির্দিষ্ট সময় অন্তর মুখ্যমন্ত্রীর পদসহ ৫০-৫০ ক্ষমতা ভাগাভাগির দাবি করেছে শিবসেনা। বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি জানিয়েছে শিবসেনা, তবে তাদের শর্ত বিজেপি না মানায় আটকে রয়েছে সরকার গঠন প্রক্রিয়া।

মোহন ভগবতের সঙ্গে দেখা করতে নাগপুরে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ

এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার বলেন, “২৫ বছরের জোট শিবসেনা-বিজেপির। রাজ্যকে নতুন একটি সরকার দেওয়ার জন্য তাদের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ করা”। ভোটের ফলাফলের পর, শিবসেনা  নেতা সঞ্জয় রাউতের  সঙ্গে দুবার বৈঠক করলেও, তাদের সঙ্গে কোনওরকম জোটের সম্ভাবনা খারিজ করে দেন তিনি।  মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোটের সরকারই টেকসই বলে মন্তব্য করেন এনসিপি সু্প্রিমো। সঞ্জয় রাউতে তাঁকে ১৭০  জন বিধায়কের সমর্থন দেখিয়েছেন বলেও জানান শরদ পাওয়ার। 

শরদ পাওয়ার জানিয়ে দেন, হিসেবের মধ্যে নেই তাঁর দল এবং কংগ্রেস, পাশাপাশি এনসিপি সুপ্রিমো বলেন, “এমনকী, আমি সঞ্জয় রাউতকে জিজ্ঞেস করেছি, কীভাবে তিনি ১৭০ জন বিধায়ক জোগাড় করবেন”। তাঁর কথায়, “মানুষ আমাদের বিরোধী আসনে বসতে বলেছে। আমাদের সংখ্যা ৫৪, তা নিয়ে সরকার গড়া যায় না”। তিনি বলেন, এনসিপি-কংগ্রেসের জোট সরকার বা শিবসেনার সমর্থন নেওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠে না।

৭ নভেম্বরের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন না হলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সম্ভাবনা!

বিরোধী দল কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছিল শিবসেনা। খবর, শরদ পাওয়ারকে সনিয়া গান্ধি জানিয়ে দিয়েছেন, শিবসেনাকে সমর্থন করে না তাঁর দল। এরমধ্যেই বিজেপি নেতা নীতিন গড়করির সঙ্গে দেখা করেন সনিয়া গান্ধি ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা আঙমেদ প্যাটেল। তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্র নিয়ে আমরা একটি বাক্যও উচ্চারণ করিনি”।

মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ২৮৮ আসনের মধ্যে, ১০৫টিতে জিতেছে বিজেপি, শিবসেনা জিতেছে ৫৬টি আসনে। এনসিপি, কংগ্রেস ও অন্যান্যদের দখলে রয়েছে ১০২টি আসন।

যদি বিজেপি ও শিবসেনা এই সঙ্কট কাটাতে না পারে, তাহলে শনিবার বিধানভার মেয়াদ শেষের পরেই সে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে।

.