This Article is From Nov 05, 2019

সব বিষয়েই আলোচনা হতে পারে, তবে মুখ্যমন্ত্রী পদ নয়: শিবসেনাকে বার্তা বিজেপির

Maharashtra Government Formation: ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব বিজেপি ও শিবসেনার, জোট গড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও, ১৩দিন পরেও সরকার গড়তে পারেনি তারা

সব বিষয়েই আলোচনা হতে পারে, তবে মুখ্যমন্ত্রী পদ নয়: শিবসেনাকে বার্তা বিজেপির

গেরুয়া শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বেই সরকার গড়বে তারা। (ফাইল ছবি)

নয়াদিল্লি:

মহারাষ্ট্র বিধানসভার (Maharashtra assembly) মেয়াদ শেষ হতে আর মাত্র তিনদিন বাকি, এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বার্তা দিল, জোটসঙ্গী শিবসেনার (Shiv Sena) সঙ্গে আলোচনার জন্য তাদের দরজা “২৪ ঘন্টাই খোলা”। তবে গেরুয়া শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বেই সরকার গডড়বে তারা। এদিনই শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তাঁদের দলের তরফেই। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে একটি বৈঠকের পর, মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল বলেন, “মানুষ সরকার গড়ার জন্য আমাদের রায় দিয়েছেন। আমাদের কোনও ফর্মূলা দেয়নি শিবসেনা। কোনও ফর্মূলা নিয়ে আলোচনার জন্য আমাদের দরজা ২৪ ঘন্টাই খোলা। আমরা সবার সঙ্গেই সরকার গড়ব। দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে আমরা জোটসঙ্গীদের নিয়ে জোট গড়ব”।

"উদ্ধব জি, বিজেপির থেকে লিখিত আশ্বাস নিন": বললেন শিবসেনার জয়ী বিধায়করা

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুধীর মুঙ্গাতিওয়ার, তিনি ইঙ্গিত দেন, যে কোনও মুহুর্তে “ভাল খবর” আসতে পারে। তাঁর কথায়, “যে কোনও মুহুর্তে সরকার গড়া নিয়ে ভাল খবর আসতে পারে”। 


oqhvuu0o২৪ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের পরেই, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে জানান, তাঁর দলের  সঙ্গে জোট নিশ্চিত নয় (পিটিআই ফাইল ছবি)​

দেবেন্দ্র ফড়নবিশের ঘনিষ্ঠ এবং মূল ক্রাইসিস ম্যানেজার গিরিশ মহাজন NDTV কে বলেন, “আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক, তবে গত কয়েকদিনে তারা আমাদের কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দিচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে আমরা উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন মাতশ্রীতে যেতেও প্রস্তুত। আমি শিবসেনাকে আবেদন করব, এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে যাওয়ার দীর্ঘদিনের ফল চিন্তাভাবনা করতে। তাতে অখুশি হবে বালাসাহেব ঠাকরেও। মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়া আমরা যে কোনও প্রস্তাবে রাজি”।

ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব বিজেপি ও শিবসেনার, জোট গড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও, ১৩দিন পরেও সরকার গড়তে পারেনি তারা। ২৮৮ বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৬১টি আসনে জিতেছে বিজেপি ও শিবসেনা।

মহারাষ্ট্রের ফলাফল "শাসকদের কাছে সতর্কবাণী": বলল বিজেপির বন্ধু শিবসেনা

তবে ২৪ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের পরেই, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ছাকরে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, বিজেপির সঙ্গে তাঁদের জোট নিশ্চিত নয়। বিজেপিকে ৫০-৫০ ফর্মূলার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি, এবং বলেন, চলতি বছরে লোকসভা নির্বাচনের সময় এনিয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে বিজেপি ও শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি।

চলতি বাকযুদ্ধে তাঁরাই জয়ী হবেন বলে জানান শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত সাংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন, “শুধুমাত্র শিবসেনা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। মহারাষ্ট্র রাজনীতির মুখ এবং অভিমুখ পাল্টাচ্ছে, আপনারা দেখতেই পাবেন। যেটাকে আপনারা ঝামেলা বলছেন, সেটা ঝামেলা নয়, ন্যায় ও অধিকারের জন্য লড়াই...আমাদেরই জয় হবে”।

Maharashtra Election Results: “৫০-৫০ চুক্তি কার্যকরের সময় এসেছে”, বার্তা শিবসেনার

তিনি বলেন, “যেহেতু এটা মানুষের অধিকার, সুতরাং খুব শীঘ্রই শপথগ্রহণ হবে। শপথগ্রহণ কারও নিজস্ব সম্পদ নয়”। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, এবং এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে সঞ্জয় রাউত বলেন, মহারাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্রেই হবে।

দ্বিতীয়বার পূর্ণ সময়ের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে রয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, নীতিন গড়করির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন তিনি, তাঁকেই শিবসেনা ও বিজেপির মধ্যে শান্তি ফেরাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

নির্দল, এনসিপি কংগ্রেসের মতো অন্যান্য দলের থেকে সমর্থনের চেষ্টায় রয়েছে শিবসেনা, যদিও শিবসেনার সঙ্গে জোটের প্রসঙ্গ খারিজ করে দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি।

আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন: 

২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ১০৫টি আসনে জিতেছে বিজেপি, তাদের পক্ষে ১১৫জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। ৫৬টি আসনে জিতলেও, তাদের পক্ষে নির্দলসহ ৬৩জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি শিবসেনার।

এনসিপি, কংগ্রেসসহ অ্যান্যদের রয়েছে ১০২টি আসন।

যদি মেয়াদ শেষের মধ্যে বোঝাপড়া না হয়, তাহলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে পারে মহারাষ্ট্রে।

.