This Article is From Nov 20, 2019

“দ্রুত মহারাষ্ট্রে স্থায়ী সরকার”, শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের পর জানাল কংগ্রেস

হিন্দুত্ত্ববাদী এবং আদর্শগতভাবে ভিন্ন দল শিবসেনার সঙ্গে জোট গড়ার ব্যাপার অনিচ্ছুক ছিলেন সনিয়া গান্ধি।

দিল্লিতে শরদ পাওয়ারের বাড়িতে এনসিপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে কংগ্রেস প্রতিনিধি দল

নয়াদিল্লি:

মহারাষ্ট্রে সরকার (Government Formation in Maharashtra) গড়তে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার বৈঠক করল কংগ্রেস এবং এনসিপি, এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের ( Sharad Pawar) বৈঠক হয়, তারপরেই ঘটনায় হঠাৎ করে বিজেপির উথ্থান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শরদ পাওয়ারের বাড়িতে এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করেন শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা, অন্যদিকে, আলাদাভাবে শিবসেনা (Shiv Sena) নেতা সঞ্জয় রাউতের সঙ্গেও বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতারা। ফলে জোট দানাবাঁধার পথেই, বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর সরকার গড়া নিয়ে “ইতিবাচক” দলের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি।

‘‘আমাকে অবমাননা করতেই...'' সংসদে আসন বদল নিয়ে অভিযোগ সঞ্জয় রাউতের

ছড়িয়ে পড়া চুক্তি অনুযায়ী, এনসিপির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদ ভাগ করে নেবে শিবসেনা, প্রথমবারে থাকবেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। এছাড়াও, দুজন উপমুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, তারমধ্যে একজন থাকবেন কংগ্রেস।

চুক্তির মধ্যে রয়েছে, ভিন্ন মতাদর্শের দলগুলির মধ্যে কমন প্রোগ্রাম তৈরি করা। শিবসেনাকে এও বলা হতে পারে, তাদের হিন্দুত্ত্ব সম্পর্কে মন্তব্যে সুর নরম করতে, যা কংগ্রেসের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।  

সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শরদ পাওয়ারের সঙ্গে এদিন বিকেলের বৈঠকের পর, কংগ্রেস দ্রুত পদক্ষেপ করে, যেখানে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস সরকার গড়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সেই আবহেই শরদ পাওয়ারকে রাষ্ট্রপতি পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

মহারাষ্ট্রের অচলাবস্থার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বারস্থ হচ্ছেন পাওয়ার

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শরদ পাওয়ারের ৪৫ মিনিটের বৈঠক কংগ্রেসের কাছে বার্তা, ইঙ্গিত মিলেছে, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে কোনওরকম দেরি হলে, হাতছাড়া হতে পারে দেশের বাণিজ্যকেন্দ্রের  মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যটি। বৈঠকের পর ট্যুইট  করে শরদ পাওয়ার জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে একটি সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। এনসিপি সূত্রের খবর, যেহেতু সময় সীমিত, ফলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কংগ্রেসকে। 

গত সপ্তাহে, নির্দিষ্ট সময়ের পর, তাদের দলের মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিতে একমত না হওয়ায় বিজেপির সঙ্গে জোট ছিন্ন করে শিবসেনা, প্রধানমন্ত্রী মোদি সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফাও দেন একমাত্র শিবসেনার সদস্য।  শিবসেনা সরকার গঠনের দাবি জানাতে যাওয়ার মুহুর্তে কংগ্রেস জানিয়ে দেয়, শরদ পাওয়ারের সঙ্গে আরও আলোচনা প্রয়োজন

সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন কোনও দলই দেখাতে না পারায় মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়।

এক সপ্তাহ পর, সোমবার, সনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা করার পর, শরদ পাওয়ার বলেন, যে, “আরও বৈঠক” হবে।

আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন: 

বুধবার সাংবাদিকদের সঞ্জয় রাউত বলেন, “গত ১০-১৫ দিনের যত প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে, সব পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। আগামিকালের মধ্যে আপনারা জানতে পারবেন, সব বাধা দূর হয়ে গিয়েছে”। তিনি আরও জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার নেতৃত্বাধীন সরকার হবে, এবং তা স্থায়ী হবে।

.