This Article is From Nov 25, 2019

"গণতন্ত্রের হত্যা": মহারাষ্ট্রের চলতি নাটক নিয়ে সংসদে বললেন রাহুল গান্ধি

Maharashtra: মহারাষ্ট্রের পালাবদলের বিরুদ্ধে সোমবার দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধির নেতৃত্বে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস

Maharashtra: মহারাষ্ট্রে যেভাবে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান সনিয়া গান্ধি-রাহুল গান্ধি সহ কংগ্রেস সাংসদরা

নয়া দিল্লি:

মহারাষ্ট্রে যেভাবে রাতারাতি সরকার গঠন করেছে বিজেপি, তা নিয়ে এবার সংসদে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাহুল গান্ধি। গোটা ঘটনাকে "গণতন্ত্রের হত্যা" বলে উল্লেখ করে ওই কংগ্রেস নেতা (Rahul Gandhi) কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে একথাও বলেন যে যদিও এ নিয়ে (Maharashtra) কেন্দ্রকে প্রশ্ন করার মানেই হয় না। এদিক আজই (সোমবার) মহারাষ্ট্রের পালাবদলের বিরুদ্ধে দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধির নেতৃত্বে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস (Congress)। এদিকে সোমবারই দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে গঠিত মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে করা শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের করা আবেদনের শুনানি হয় । শনিবার আচমকাই এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের সমর্থনকে সঙ্গে করে মহারাষ্ট্রে নয়া সরকার গড়েন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। অজিত পাওয়ারকে তাঁর উপ মুখ্যমন্ত্রী করেন দেবেন্দ্র।

এদিক আজই (সোমবার) লোকসভায় মহারাষ্ট্র ইস্যুতে কংগ্রেস সাংসদদের দেখানো বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে অধিবেশন। সংসদ চত্বরে তো বটেই, বিক্ষোভের আঁচ গড়াল লোকসভার অধিবেশনেও। সেখানে সনিয়া গান্ধির নেতৃত্বে বিক্ষোভ আন্দোলনে সরব হলেন হাতের দলের সাংসদরা। সংসদের বাইরে ও ভিতরে লাগাতার মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের (Maharashtra Government Formation) বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভের জেরে ব্যাহত হয় অধিবেশনের স্বাভাবিক কাজ।

মহারাষ্ট্র নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট

সোমবার লোকসভায় অধিবেশন চলাকালীন কংগ্রেসের একদল সাংসদ ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এবং অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে গিয়ে ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। মহারাষ্ট্রে "গণতন্ত্রের হত্যা" হয়েছে এবং এই ধরণের কাজ বন্ধ করা হোক, দাবি জানান তাঁরা।

ওম বিড়লা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে কাজ না হওয়ায়, কংগ্রেসের দুই সাংসদ টিএন প্রথাপন এবং হিবি ইডেনকে লোকসভা কক্ষ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বিক্ষোভরত কংগ্রেস সাসংদদের হাতে থাকা ব্যানার অপসারণেরও নির্দেশ দেন তিনি।

শনিবার সকালেই গোটা দেশকে অবাক করে দিয়ে মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার বিজেপিকে সরকার গড়ার ব্যাপারে সমর্থন জোগান। যদিও শিবসেনা প্রধান বলেন, বিজেপিকে সমর্থনের বিষয়টি পুরোপুরি অজিত পাওয়ারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, এর সঙ্গে এনসিপি দলের কোনও যোগ নেই।

নিখোঁজ ৩ এনসিপি বিধায়ককে ছাড়াই সরকার গঠনের দাবি জানাল শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট

মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সরকারকে অবৈধ দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট।  সোমবার এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টকে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার জানায় যে, এনসিপির ৫৪ জন বিধায়করেই সমর্থন রয়েছে তাঁদের কাছে; এর পাশাপাশি নিজেদের দলের ১০৫ জন বিধায়ক এবং কিছু নির্দল বিধায়কের সমর্থন যোগ করে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্যে থাকা সংখ্যা ১৪৫ কেও ছাড়িয়ে যাবে তাঁদের সঙ্গে থাকা বিধায়কদের সমর্থন। এদিকে এনসিপি পাল্টা দাবি করে যে ওই ৫৪ জন বিধায়কের মধ্যে ৫১ জন বিধায়ক সেনা-কংগ্রেস-এনসিপি-র জোটকেই সমর্থন করছেন।

সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চের এক বিচারপতি জানিয়েছেন, উভয় পক্ষের মধ্যে এই ঝামেলার সমাধান কেবলমাত্র ফ্লোর টেস্টের মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব। সূত্র মতে চলতি মাসের শেষের দিকেই হতে পারে আস্থা ভোট। যদিও সেনা-কংগ্রেস-এনসিপি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি করানোর পক্ষে সওয়াল করেছে।

মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পালাবদলের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ, দেখুন ভিডিও:

.