This Article is From Nov 27, 2019

উপ মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ার আগে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে কী বলেছিলেন অজিত পাওয়ার?

Maharashtra: যেভাবে গত শনিবার রাতারাতি নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, তার বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যায় শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট

উপ মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ার আগে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে কী বলেছিলেন অজিত পাওয়ার?

Maharashtra: সূত্র মতে, অজিত পাওয়ারের আশ্বাসের ভিত্তিতেই বিজেপি নিজেদের পক্ষে প্রয়োজনীয় বিধায়ক থাকার আশা করে

মুম্বই:

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পরেই বিজেপি বুঝে যায় যে তাঁদের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে আস্থা ভোটে জেতা একরকম অসম্ভব। এর আগে বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের (Devendra Fadnavis) পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) সরকার গড়তে সাহায্য করেছিলেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। কিন্তু যত সময় গড়াচ্ছিল ততই তিনি (Ajit Pawar) বুঝতে পারছিলেন তাঁর দাবি মতো ৫৪ জন এনসিপি বিধায়কের সমর্থন বিজেপির দিকে নিয়ে আসা দুঃসাধ্য। শনিবার যখন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকার গড়েন তখন অজিত পাওয়ার তাঁকে এই বলেই আশ্বস্ত করেন যে তাঁর কাকা তথা এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার সহ সমস্ত এনসিপি বিধায়কের সমর্থনই বিজেপি সরকারের পক্ষে আছেন, যাঁরা একটি "স্থিতিশীল" সরকারকে সমর্থন করবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় শিবসেনা বিধায়করা জোটের পক্ষেই রয়েছেন। বরং তাঁরা অভিযোগ করেন যে অজিত পাওয়ারই তাঁদের বিভ্রান্ত করেছেন।

এরপরেই চুপিসাড়ে ফড়নবিশের সরকার গঠনের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে  চ্যালেঞ্জ করে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট এবং তাঁরা অভিযোগ করে যে অনৈতিকভাবে ক্ষমতায় বসেছে বিজেপি সরকার।

সূত্রের খবর, অজিত পাওয়ারের আশ্বাসের ভিত্তিতেই বিজেপি আশা করেছিল যে আস্থা ভোটে ডাক আসার আগেই নিজেদের পক্ষে তাঁরা যথেষ্ট বিধায়ককে একজোট করতে সমর্থ হবে। কিন্তু দেখা যায়, সময় গড়ালেও অজিত পাওয়ারের হাত ধরে সেভাবে কোনও সমর্থন পাচ্ছে না দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সরকার।

মহারাষ্ট্রের বিধায়কদের শপথের আগে অজিত পাওয়ারকে স্বাগত জানাল জোট

এদিকে মঙ্গলবার সকালেই সুপ্রিম কোর্ট "তাৎক্ষণিক" ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের পরীক্ষা সরাসরি সম্প্রচারের নির্দেশ দেয়, যার ফলে বুধবারের মধ্যে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে তাঁর সরকারের সপক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হতো। "আস্থা ভোটে বিলম্ব হযলে, ঘোড়া কেনাবেচার একটা সম্ভাবনা থেকে যায়, তাই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য আদালতকে এই দায়িত্ব নিতে হয়েছে", বলে সুপ্রিম কোর্ট।

পাশাপাশি শীর্ষ আদালত এই আদেশও দেয় যে কোনও গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়া যাবে না, যা হবে খোলাখুলিই হবে। এখানেই ধাক্কা খায় বিজেপি। কেননা এর আগে পর্যন্ত ফড়নবিশ সরকারের আশা ছিল যে গোপন ব্যালটে আস্থা ভোট হলে এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের ঘনিষ্ঠ বিধায়করা বিজেপির পক্ষে ভোট দেবেন। অর্থাৎ এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশ তাদের আশায় জল ঢেলে দেয়।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন উদ্ধব ঠাকরে, ধন্যবাদ জানালেন সনিয়া গান্ধিকে

সূত্রের খবর অনুসারে অজিত পাওয়ার বিপাকে পড়ে সেই সময় বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করে বলেন যে, বুধবারের মধ্যে এত বেশি সংখ্যক বিধায়ককে একজোট করে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটকে পরাজিত করা অসম্ভব। দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করার পরেই তাঁর পদত্যাগের খবর প্রকাশ্যে আসে।

সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে যে আস্থা ভোট প্রোটেম স্পিকার বা অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে, সরকার যেমন স্থির করেছিল তেমনভাবে কোনও স্থায়ী অধ্যক্ষ দিয়ে ওই ভোট পরিচালনা করা হবে না।

সুপ্রিম কোর্টের এই কঠোর রায়ই বিজেপিকে অসহায় করে দেয়। তাঁরা বুঝতে পারে যে মহারাষ্ট্রে তাঁদের সরকারের সংখ্যগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা সম্ভব নয়।

মহারাষ্ট্রের খবরের পাশাপাশি চোখ রাখুন অন্য খবরেও:

.