Read in English
This Article is From Feb 07, 2019

কোনও মহিলা কুমারী কিনা তা জানতে পরীক্ষা করলে শাস্তি হবে দেশের এই রাজ্যে

কোনও মহিলা  কুমারী কিনা জানতে চাওয়া এবং তার জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা তাকে যৌন হেনস্থা করার সামিল । এমনই মনে করে মহারাষ্ট্র সরকার।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

অলনাইনে  এই প্রথার বিরুদ্ধে  প্রচার  শুরু হয়েছে।

Highlights

  • বিষয়টিকে যৌন হেনস্থা করার সামিল বলে মনে করে মহারাষ্ট্র সরকার
  • মহারাষ্ট্রের কাঞ্জাভাট নামে একটি জনজাতির মধ্যে এ ধরনের প্রথা রয়েছে
  • সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে প্রমাণ করতে হয় বিয়ের আগে তিনি কুমারী ছিলেন
মুম্বই :

কোনও মহিলা  কুমারী কিনা জানতে চাওয়া এবং তার জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা তাকে যৌন হেনস্থা করার সামিল । এমনই মনে করে মহারাষ্ট্র সরকার।  আর এখন থেকে  এ রাজ্য  বিষয়টিকে  অপরাধ বলেই  ধরা  হবে।  হবু স্ত্রীয়ের পাশাপাশি সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীয়ের ক্ষেত্রে এই  নতুন নিয়ম একই ভাবে কার্যকর হবে।  রাজ্যের বেশ কয়েকটি জনজাতির মধ্যে  দীর্ঘ দিন ধরে এ  ধরনের প্রথা  চলে আসছে । সেগুলি বন্ধ  করতেই পদক্ষেপ করল  দেবেন্দ্র ফড়নবিশ  সরকার।  মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র  দপ্তরের  রাষ্ট্রমন্ত্রী রঞ্জিত পাতিল  বুধবার কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের  সঙ্গে  বৈঠক  করেন।  শিবসেনার  মুখপাত্র নীলম গোরহেও  ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন।  পরে মন্ত্রী  জানান,  কোনও মহিলা কুমারী   কিনা  জানতে  কোনও রকম পরীক্ষা  করা  যাবে না। পরীক্ষা  করলে তা  অপরাধ বলেই চিহ্নিত  হবে। খুব তাড়াতাড়ি এই মর্মে নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হবে। 

জন্ম দিয়েছে কেন? এই কারণে অভিভাবকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চায় ছেলে

মহারাষ্ট্রের  কাঞ্জাভাট  নামে একটি  জনজাতির মধ্যে  এ ধরনের প্রথা রয়েছে।   সেখানে সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে  প্রমাণ করতে  হয়  বিয়ের আগে  তিনি কুমারী ছিলেন।  ওই জনজাতির কিছু মানুষ অলনাইনে  এর বিরুদ্ধে  প্রচার  শুরু করেছেন। এবার  তাতে হস্তক্ষেপ করল প্রশাসন। বৈঠকের পর মন্ত্রী   সাংবাদিকদের জানান,  এখন  থেকে  মাসে দুবার  করে  তাঁর দপ্তর  যৌন নিগ্রহের অভিযোগ নিয়ে  আলোচনা  করবে। সেখানে অংশ নিয়ে  নাগরিকরা নিজের অভিযোগ জানাতে পারবেন। আর তাছাড়া প্রতিটি মামলার শুনানি যাতে  দ্রুত হয়  সেটাও সুনিশ্চিত  করতে  চাইছে সরকার।  

Advertisement

 

Advertisement