This Article is From Jan 05, 2020

শরদ পাওয়ারের দলকে মহারাষ্ট্রে বড় দায়িত্ব, আদিত্য ঠাকরে পেলেন পর্যটন

৩৬ জন বিধায়কের শপথগ্রহণের ছ’দিন পর এই তালিকা প্রকাশিত হল। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের দায়িত্বে আইনশৃঙ্খলা এবং সাধারণ প্রশাসনিক দফতর।

৩৬ জন বিধায়কের শপথগ্রহণের ছ’দিন পর এই তালিকা প্রকাশিত হল।

মুম্বই: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি রবিবার সই করলেন মহারাষ্ট্রের নতুন সরকারের (Maharashtra Government) ৪২ জন মন্ত্রীর তালিকায়। ৩৬ জন বিধায়কের শপথগ্রহণের ছ’দিন পর এই তালিকা প্রকাশিত হল। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের দায়িত্বে আইনশৃঙ্খলা এবং সাধারণ প্রশাসনিক দফতর। তাঁর ছেলে আদিত্য ঠাকরেকে দেওয়া হয়েছে পরিবেশ ও পর্যটন— দুই মন্ত্রক। সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা এনসিপি পেয়েছে ১৬টি মন্ত্রক। শিবসেনা পেয়েছে ১৫টি। কংগ্রেস পেয়েছে ১০টি মন্ত্রক। অনেক কংগ্রেস নেতা কোনও মন্ত্রক না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভা সম্পর্কে ১০টি তথ্য:

  1. শরদ পাওয়ারের দল পেয়েছে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকগুলি। তাদের মধ্যে রয়েছে স্বরাষ্ট্র, অর্থ, সেচ ও আবাসন মন্ত্রক। এছাড়া উপমুখ্যমন্ত্রীর পদও পেয়েছে তারা। 

  2. এনসিপির অনিল দেশমুখ পেয়েছেন গুরুত্বপূ্র্ণ স্বরাষ্ট্র দফতর। অর্থ দফতরের দায়িত্বে উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। আবাসন ও সেচ যথাক্রমে জিতেন্দ্র আওয়াদ ও জয়ন্ত পাতিল। খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ এবং ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দায়িত্বে ছগন ভুজবল। 

  3. শিবসেনার ১৫টি মন্ত্রকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিল্প, খনি ও মারাঠি ভাষা। এগুলির দায়িত্বে সুভাষ দেশাই। নগর উন্নয়ন পেয়েছেন একনাথ শিন্ডে। অনিল পরব পেয়েছেন পরিবহন ও বিধানসভা বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্ব।

  4. কংগ্রেস একটিই গুরুত্বপূর্ণ দফতর পেয়েছে। সেটি হল রাজস্ব। দলের রাজ্য সভাপতি বালাসাহেব থোরাট পেয়েছেন ওই দায়িত্ব। 

  5. ‘মহারাষ্ট্র বিকাশ আঘাদি' সরকারকে এবার যুঝতে হবে অখুশি বিধায়কদের সঙ্গে। কয়েকজন বিধায়ক কোনও দফতরের দায়িত্ব না পাওয়ায় পদত্যাগের হুমকি দিয়েছে। তাঁদের অন্যতম কৈলাস গোরান্ত্যাল। তিনি জানিয়েছেন, দলের রাজ্য সভাপতির কাছে এরই মধ্যে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। 

  6. তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমি তৃতীয় বারের জন্য নির্বাচিত হয়েছি। কংগ্রেস ও এনসিপির ভাঙনের সময়ও আমি নির্বাচিত হয়েছি। মোদি ঝড়ের সময়ও আমি নির্বাচিত হয়েছি। কেন আমার সঙ্গে এই অন্যায় করা হল?''

  7. শিবসেনা নেতা আব্দুল সাত্তারও তাঁকে মন্ত্রী না করার জন্য পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। নির্বাচনের আগে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে শিবসেনায় যোগ দিয়েছেন। 

  8. এই সব পদত্যাগের হুমকির খবরে নিঃসন্দেহে খুশি গেরুয়া শিবির। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের চেষ্টা করেও তা স্থায়ী করতে পারেনি বিজেপি। ৮০ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়নি তাদের সরকার। 

  9. দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দাবি জানিয়েছেন, এটাই এই সরকারের শেষের শুরু। 

  10. কংগ্রেস সব থেকে কম মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছে। তাদের আসনসংখ্যা সরকারে থাকা বাকি দুই দলের থেকে কম। শিবসেনা ৫৬ ও এনসিপির ৫৪টি আসন পেয়েছে। ৪৪টি আসনে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মোট আসনসংখ্যা ২৮৮। 



Post a comment
.