একটি বাচ্চার সঙ্গে কথা বলতে গেলে সাতজনের দলটির ওপর চড়াও হয় জনতা
হাইলাইটস
- 5 জনকে ঘরে আটকে রাখে জনতা, তারপর তাদের ইট আর পাথর দিয়ে মারা হয়
- ছেলেধরার গুজব এলাকায় ছড়ানোর পর ওই দলটির ওপর আক্রমণ করে জনতা
- মৃতদেহ দেখাতে অস্বীকার করায় পুলিশকেও আক্রমণ করে জনতা
মুম্বাই: গতকাল মহারাষ্ট্রের ধুলেতে ভয়াবহ গণপিটুনিতে মৃত পাঁচজনের ক্ষতবিক্ষত দেহ তুলে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। অভিযোগ, গ্রামবাসীরা সমবেতভাবে সেই সময় দাবি জানায় গাড়ির ভিতর থেকে অন্তত দুটো মৃতদেহ বের করে আনতে হবে। তারা নিশ্চিত হতে চায় যে, ওই দুজনও বাকি তিনজনের সঙ্গে মারা গিয়েছে। এই বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের পরের দিন এই নিয়ে আরও কিছু তথ্য উঠে এল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, হোয়াটসঅ্যাপে ছেলেধরা বেরোনোর গুজব রটে যাওয়ার পরই এই পাশবিক আচরণের সূচনা হয়। এখনও পর্যন্ত তেইশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। আরও বেশ কয়েকজনকে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করা হবে। অভিযুক্তদের সকলেরই বয়স কুড়ির কোঠায়।
“আমরা আরও কয়েকজন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে। অভিযুক্তদের ধরার জন্য পাঁচটি দল তৈরি করা হয়েছে”, বলেন সিনিয়র পুলিশ অফিসার এম রামকুমার।
ধুলে শহর থেকে 140 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাইঁপড়া গ্রাম। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার সংগ্রহ করে, গোসাবি উপজাতির এমন সাতজন ব্যক্তি সোলাপুর থেকে একটি সরকারি বাসে করে ওই গ্রামে নামে।
তারা বিভিন্নত বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সংগ্রহ করছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গিয়েছে, এমন একটি বাড়িতেই খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে দলের মধ্যে একজন ওই বাড়ির একটি বাচ্চার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। ফলে, সন্দেহ গিয়ে পড়ে ওই দলের ওপর। রোববার দিন সপ্তাহের বাজার করতে আসা গ্রামবাসীরা ওই ব্যক্তিকে ছেলেধরা ভেবে সন্দেহ করে তাদের দলটার ওপর চড়াও হয়।