This Article is From Nov 30, 2019

সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের পরীক্ষা দিতে হবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী Uddhav Thackeray-কে

সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে ফ্লোর টেস্ট দিতে অসমর্থ হয় দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, কারণ তাঁর উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার BJP-র হাত ছেড়ে দিয়ে পুনরায় ফিরে যান NCP-তে

গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে

নয়াদিল্লি:

শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস এই তিন দলের সহমতে গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। শনিবার বিধানসভায় তাঁকে দিতে হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরীক্ষা। রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কেশয়ারী নব নির্বাচিত সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য তিন ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন।তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণের আগে এনসিপি বিধায়ক দলের সাথে একটি বৈঠক হওয়ার কথা আছে। শনিবার দুপুর ১২ টার সময় এই বৈঠক হওয়ার কথা।প্রসঙ্গত, এই মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মহারাষ্ট্রে দেখা গেছে বিভিন্ন রকম নাটকীয় পরিস্থিতি, উদ্ধব ঠাকরে শপথ নেওয়ার আগে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এনসিপির অজিত পাওয়ারের সাথে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথও নিয়ে নেন তিনি।এরপর এই মামলা পৌঁছে যায় সুপ্রিম কোর্টে।সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুসারে ফ্লোর টেস্ট দিতে অসমর্থ হয় দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, কারণ তাঁর উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বিজেপির হাত ছেড়ে দিয়ে পুনরায় ফিরে যান এনসিপি-তে, যার ফলে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১০৫, শিবসেনা ৫৬, এনসিপি ৫৪ ও কংগ্রেস লাভ করেছিল ৪৪ টি আসন।  

‘‘মহারাষ্ট্রের পর এবার গোয়া'': বিজেপির উদ্দেশে বার্তা সঞ্জয় রাউতের 

বিজেপি এবং শিবসেনা মিলে মোট আসন সংখ্যা ছিল ১৪৫। কিন্তু শিবসেনা ৫০-৫০ ফর্মুলা দাবি করার জন্য ভেঙে যায় এই বহু পুরানো জোট, কারণ এই ফর্মুলা অনুসারে আড়াই বছর করে সরকার চালাবার দাবি জানিয়েছিল শিবসেনা।শিবসেনার মতে, এই শর্তেই বিজেপি-র  সাথে থাকতে রাজি হয়েছিল তারা, কিন্তু বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়, এমন কোনো চুক্তি হয়নি।এই বিবাদের জেরেই এই দুই দলের ৩০ বছরের বন্ধুত্ব ভেঙে যায়।

প্রধানমন্ত্রীর উচিত "ছোট ভাই উদ্ধব ঠাকরেকে সহযোগিতা করা": শিবসেনা

এরপর সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিভিন্ন বৈঠকের পর কংগ্রেস-এনসিপি শিবসেনার সাথে হাত মিলিয়ে উদ্ধব ঠাকরেকেই মুখ্যমন্ত্রী করার কথা ঘোষণা করে। শনিবার রাতে এই তিন দল রাজভবনে গিয়ে  নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবে বলে ঠিক হয়, ইতিমধ্যে  এনসিপির অজিত পাওয়ার রাতারাতি বিজেপির সাথে হাত মেলায়।সকাল আটটায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হন আজিত পাওয়ার। তারপর অজিত পাওয়ার বিজেপির হাত ছেড়ে দেওয়ায় কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনা মিলে মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার গড়ে তুলেছে, যার ফ্লোর টেস্ট আজ।   

দেখে নিন সম্পর্কিত আরও কয়েকটি খবর: 

Maharashtra: বিরোধী পক্ষে বসে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের?

প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে শপথগ্রহণে আসার আমন্ত্রণ উদ্ধব ঠাকরের: ১০ তথ্য

বৃহস্পতিবার উদ্ধব ঠাকরের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

.