এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি অশোক ভূষণ, এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ জানায়, সোমবার সকাল ১০.৩০টার মধ্যে দুটি চিঠিই আদালতে জমা দিতে হবে কেন্দ্রকে। শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি জানিয়েছে, সরকার গঠনের আহ্বান জানানোর আগে, তাঁর সংখ্যাগরিষ্ঠতা খতিয়ে দেখা রাজ্যপালের দায়িত্ব। তাদের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, এনসিপির ৫৪জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে বিজেপির দাবি মিথ্যা।
রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ত্বের অভিযোগ তুলে তিন দলের মন্তব্য, “ রাজ্যপালের দফতর নিয়ে ঠাট্টা করা হচ্ছে”। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, “২২.১১.২০১৯ থেকে ২৩.১১.২০১৯-এর মধ্যবর্তী রাতে রাজ্যপালের ভূমিকা কেন্দ্রে ক্ষমতা থাকা একটি দলের হয়ে কাজ করার উদাহরণ”।
পাল্টা দিয়ে বিজেপি দ্রুত জানিয়েছে, রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত বিচারবিভাগের পর্যালোচনার বিষয় হতে পারে না। চিঠি জমা দেওয়ার জন্য আরও সময় চায় বিজেপি, সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, “আগামিকাল যখন আদালতের নথি থাকবে, দুপক্ষের বক্তব্য শুনবে শীর্ষ আদালত এবং একটি সিদ্ধান্ত নেবে। যখন আস্থা ভোট হবে, পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, আমাদের সমর্থনের পক্ষে প্রয়োজনীয় বিধায়কসংখ্যা রয়েছে। এটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, রাতভর যখন বিজেপি সরকার গড়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় বিধায়ক নেই বিজেপির”।
বিষয়টি নির্ভর করছে সংখ্যার ওপর, সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি জানিয়েছে জোট এবং বিজেপি, উভয়পক্ষই। এনসিপি জানিয়েছে, তাদের দিকে রয়েছেন ৫০জন বিধায়ক, বেশীরভাগই শনিবার সন্ধ্যার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, যে বৈঠকে অজিত পাওয়ারকে দলের পরিষদীয় নেতার পদ থেকে সরানো হয়।
হঠাৎ করেই, রাতভর উথ্থানে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করে বিজেপি, তারপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তিনদল। সকাল ৫.৪৭টা. রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হয়, তার ঘন্টাদুয়েকের মধ্যেই শপথগ্রহণ হয়।
শরদ পাওয়ার দাবি করেছে, অজিত পাওয়ারের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বদল নিয়ে তিনি কিছুই জানতেন না, পাশাপাশি তাঁর দল জোটের পক্ষই রয়েছে বলেও জানান এনসিপি সুপ্রিমো। শিবসেনা অজি, পাওয়ারকে জানিয়েছে, বহু দুর্নীতির মামলা রয়েছে তাঁর, ফলে সেই কারণেই বিজেপির সঙ্গে গিয়েছেন তিনি।
শনিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে, শপথগ্রহণে অংশগ্রহণ করা কয়েকজন বিধায়ক, দাবি করেন, অজিত পাওয়ারের কৌশলেই তাঁরা রাজভবনে গিয়েছিলেন। শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস এখন নিজেদের বিধায়কদের রক্ষায় ব্যস্ত। মুম্বইয়ের বিভিন্ন হোটেলে রাখা হয়েছে তাঁদের। নির্দল বিধায়ক রাজকুমার প্যাটেল NDTV কে বলেন, গোয়ার হোটেলে রয়েছে ৮জন নির্দল বিধায়ক।
রবিবার সকালে, শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন সঞ্জয় কাকাড়ে, এটা ব্যক্তিগত কারণ বলেই দাবি করেন তিনি। গত সপ্তাহে প্রধানমন্তীর মোদির সঙ্গে দেখা করেন শরদ পাওয়ার। মহারাষ্ট্রে রাজনৈতি পরিস্থিতির ব্যপক বদলের মাঝেও, ৪৫ মিনিটের সেই বৈঠক নিয়ে গুঞ্জন অব্যাহত।
জোট গড়ে ক্ষমতায় আসার সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছিল এনসিপি, শিবসেনা এবং কংগ্রেস। উদ্ধব ঠাকরে কে মুখ্যমন্ত্রী এবং জোটের নেতা করে কমন মিনিমাম প্রোগ্রামও তৈরি হয়। অধ্যক্ষ নিয়ে সিদ্ধান্ত আটকে ছিল, শনিবার আরও বৈঠকের কথা ছিল।