মুম্বইয়ের বিভিন্ন হোটেলে রয়েছেন এনিসিপি, কংগ্রেস ও শিবসেনা বিধায়করা
মুম্বই: দলের প্রায় ৫০জন বিধায়ককে মুম্বইয়ের একটি হোটেল থেকে আরেকটিতে স্থানান্তরিত করতে চলেছে এনসিপি (NCP) । বিধায়কদের দলত্যাগ ঠেকাতেই এই উদ্যোগ। মহারাষ্ট্রের ঘটনা পড়তে পড়তে চমক, হার মানাবে কোনও গোয়েন্দা গল্পকেই, প্রতি মুহুর্তে রহস্য, নাটকীয়তায় মোড়া, দলের বিধায়কদের দলত্যাগ ঠেকাতে মরিয়া কংগ্রেস, এনসিপি এবং শিবসেনা, চলতি মাসের শেষে হতে পারে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ, ফলে সেদিকে তাকিয়ে সতর্ক তিনদলই। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ১০৫টিতে জিতেছে বিজেপি, তারাই বৃহত্তম দল, তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে তাদের আরও ৪০ জন বিধায়কের সমর্থন পেতে হবে। বর্তমানে রেনেঁসা হোটেলে রয়েছেন এনসিপি বিধায়করা, তাঁদের মুম্বই বিমানবন্দর সংলগ্ন হায়াত হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে।
সূত্রের খবর, বর্তমান জায়গায় অসুবিধার কারণে,তাঁদের সরানো হচ্ছে বলে খবর। ললিত, জেডব্লু ম্যারিওটে রয়েছেন শিবসেনা ও কংগ্রেস বিধায়করা।
বিজেপি সরকারের পক্ষে সওয়াল অজিত পাওয়ারের, বললেন তাঁর নেতা শরদ পাওয়ার
স্থান পরিবর্তনের খবর জানাজানি হওয়া কিছুক্ষণ আগে, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারকে (Sharad Pawar) ট্যুইট করেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar) ।
শনিবার, অজিত পাওয়ার দাবি করেন, এনসিপির ৫৪জন বিধায়য়কই বিজেপিকে সমর্থন করতে পারে। যাইহোক, পরে সেই সংখ্যাটা গিয়ে পৌঁছায় ৫।
রবিবার, যখন এনসিপি বিধায়করা শরদ পাওয়ার এবং শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেই সময় অজিত পাওয়ার ট্যুইট করে চলেছিলেন, কিছু শব্দ লেখেন, যার ইঙ্গিত, এনসিপি বিধায়কের বিজেপিকে সমর্থনের প্রস্তাব দেন তাঁর কাকা। তবে তা খারিজ করে দেন শরদ পাওয়ার, ভাইপোর বিবৃতিকে, “মিথ্যা এবং দ্বন্দ্ব তৈরি করতে ভুল বোঝানো” বলে মন্তব্য করেন।
এনসিপির বৈঠকে, কয়েকজন বিধায়ক দাবি করেন, বিজেপিকে সমর্থন করলে তাঁদের মন্ত্রী করা হবে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় এনসিপি-কংগ্রেস-শিবসেনা, শীঘ্রই সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণের দাবি তোলে তারা। তবে তা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট এবং সোমবার সকাল ১০.৩০টার মধ্যে কেন্দ্রকে দুটি চিঠি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
মহারাষ্ট্রে দোদূল্যমান অবস্থা কাটে, শনিবার সকালে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী এবং অজিত পাওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী পথ নেওয়ার পর। শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের বৈঠকে সরকার গঠন নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরে, এই পদক্ষেপ করেন অজিত পাওয়ার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনিও।
রবিবার একটি বৈঠক করে বিজেপিও, সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। বৈঠেক পর, সংবাদমাধ্যমে দলের নেতা আশিস শেলার জানান, সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরীক্ষায় কীভাবে উত্তীর্ণ হওয়া যাবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।