মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শরদ পাওয়ার। (পিটিআই)
মুমব্ই: মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে শরদ পাওয়ারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার এনসিপির এক বর্ষীয়ান নেতা দাবি করলেন, শরদ পাওয়ার ভারতীয় রাজনীতির তথাকথিত ‘চাণক্য'-কেও হারিয়ে দিয়েছেন। দলের মুখপাত্র নবাব মালিক কারও নাম না নিলেও, তাঁর ইঙ্গিত বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে বলেই মনে করা হচ্ছে। দেশে বিজেপির সাফল্যের অন্যতম স্থপতি ও কৌশলী মনে করা হয় অমিত শাহকে। শুক্রবার একাধিক বৈঠকের পর মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের ব্যাপারে ঘোষণা করতে চলেছে এনসিপি, শিবসেনা এবং কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে এনসিপির মুখপাত্র হিন্দিতে টুইট করলেন।
তিনি টুইটে লেখেন, ‘‘শরদ পাওয়ার সাহেব শেষ পর্যন্ত ভারতীয় রাজনীতির তথাকথিত চাণক্যকে হারিয়ে দিয়েছেন। দিল্লির শাসকরা মহারাষ্ট্রকে তাঁদের সামনে ঝোঁকাতে পারলেন না। জয় মহারাষ্ট্র।''
বৈঠকে, উদ্ধব ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে বলেন শরদ পাওয়ার: সূত্র
বিজেপি ও শিবসেনা ২১ অক্টোবর হওয়া মহারাষ্ট্র বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জোট হিসেবে। বিজেপি ১০৫টি ও শিবসেনা ৫৬টি আসন পায়। কিন্তু সর্বোচ্চ আসন পাওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতার বণ্টন নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সেই জোট সরকার গড়তে পারেনি। শিবসেনার দাবি ছিল, মুখ্যমন্ত্রিত্বের মেয়াদের সমবণ্টন। পাশাপাসি মন্ত্রিসভাতেও দুই দলের প্রতিনিধি সমসংখ্যক থাকবেন। বিজেপি সেই দাবি মানতে চায়নি।
৭৯ বছরের শরদ পাওয়ার মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। গত সপ্তাহে তিনি একাধিক বৈঠক করেন, এর মধ্যে দিল্লিতে সনিয়া গান্ধির সঙ্গে বৈঠকও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।
মহারাষ্ট্রে সেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট ক্ষমতায় এলে ছেদ পড়তে পারে বুলেট ট্রেন প্রকল্পে: সূত্র
বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধব ঠাকরে ও তাঁর পুত্র আদিত্য ঠাকরে এনসিপি মুখ্য শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন।
শোনা গিয়েছে, বিজেপিও শরদ পাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল। শিবসেনার থেকে মাত্র দুই আসন কম পাওয়া এনসিপি চাইলে বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়তে পারে, এই প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। এবং শরদ পাওয়ারকে ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতির প্রস্তাবও করা হয়েছিল বলে শোনা গিয়েছে।
১২ নভেম্বর থেকে মহারাষ্ট্রে জারি রয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। কোনও দল সরকার গঠনের দাবি না জানানোয় রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে।