Maharashtra: Maharashtra Vikas Aghadi নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন Uddhav Thackeray
মুম্বই: শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে (Shiv Sena chief Uddhav Thackeray) আজ, বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী (Maharashtra Chief Minister) হিসাবে দায়িত্ব নেবেন এবং শিবসেনা-জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)- কংগ্রেস জোটের (Sena-Nationalist Congress Party (NCP)-Congress alliance) নেতৃত্বও দেবেন। প্রতিটি দলের দু'জন করে মোট ছয়জন মন্ত্রীর সঙ্গেই তিনি শপথ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শপথ গ্রহণ করতে চলা সম্ভাব্য মন্ত্রীরা হলেন শিবসেনার একনাথ শিন্ডে এবং সুভাষ দেশাই, এনসিপির জয়ন্ত পাতিল এবং ছাগন ভূজবাল এবং কংগ্রেসের বালাসাহেব থোরাট এবং অশোক চাভান।
আরও পড়ুনঃ Thackeray Sarkar: মহারাষ্ট্রে উপমুখ্যমন্ত্রী, স্পিকারের পদে থাকছেন কারা?
বিজেপি নেতৃত্বাধীন ৮০ ঘণ্টার মহারাষ্ট্র সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মেয়াদ শেষ করে ঘর ওয়াপসি ঘটেছে এনসিপির অজিত পাওয়ারের। মহা বিকাশ আঘাদি সরকারেও সম্ভবত একই পদ পেতে পারেন তিনি। যদিও সূত্রের খবর, আজ শপথ নেবেন না অজিত পাওয়ার।
অজিত পাওয়ার দলীয় সহকর্মী জয়ন্ত পাতিলের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে পারেন। অজিত পাওয়ারের স্বল্পকালীন বিদ্রোহের সময় এনসিপিতে তাকে পদ থেকে স্থানচ্যুত করে বসানো হয় জয়ন্ত পাতিলকে। স্পিকারের পদ পেতে চলেছে কংগ্রেস। এই পদে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চাভানের নাম নিয়ে জল্পনা চলছে।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে শপথগ্রহণে আসার আমন্ত্রণ উদ্ধব ঠাকরের: ১০ তথ্য
মহারাষ্ট্রের ৪৩ টি মন্ত্রকের মধ্যে সেনা দল পেতে চলেছে ১৬ টি, এনসিপির ১৫ টি এবং কংগ্রেসের ১২ টি মন্ত্রক পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোন মন্ত্রকের মন্ত্রী হবেন কে সেই নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সূত্রের খবর, কংগ্রেস স্পিকারের পদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এনসিপি অতিরিক্ত মন্ত্রকের দাবি করেছে।
২৮৮ সদস্যের বিধানসভায় ৫৬ টি আসন জিতে গত মাসে মহারাষ্ট্র নির্বাচনে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসাবে সামনে আসে শিবসেনা। বিজেপি জেতে ১০৫ টি আসন। বিজেপির সঙ্গে জোট ভঙ্গের পরে এনসিপি (৫৪) এবং কংগ্রেসের (৪৪) সঙ্গে জোট বাঁধে শিবসেনা। শিবসেনার দাবি ছিল, পর্যায়ক্রমে তাদেরও মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে দিতে হবে যা বিজেপি প্রত্যাখ্যান করে।
ভোরবেলার বিতর্কিত শপথ অনুষ্ঠানের ঠিক চার দিন পরে, মঙ্গলবার বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ পদত্যাগ করেন। ওই অনুষ্ঠানে অজিত পাওয়ার উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। শপথ গ্রহণের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি বিরল ব্যবহৃত নিয়মের প্রয়োগ করে ভোর ৫.৪৭ মিনিটে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন বাতিল করা করেন।
সুপ্রিম কোর্ট দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে তাত্ক্ষণিক শক্তি পরীক্ষায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেওয়ার পরেই দেবেন্দ্র পদত্যাগ করেন। বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে ৪০ আসন কম পেয়েছিল এবং অজিত পাওয়ারও এই শূন্যতা পূরণ করতে প্রয়োজনীয় এনসিপি বিধায়কদের দলে টানতে ব্যর্থ হন।