This Article is From Nov 24, 2019

বিজেপি সরকারের পক্ষে সওয়াল অজিত পাওয়ারের, বললেন তাঁর নেতা শরদ পাওয়ার

অজিত পাওয়ার বলেন, “আমরা স্থায়ী সরকারের নিশ্চয়তা দেব, এবং সেই সরকার মহারাষ্ট্রের মানুষের কল্যাণে কাজ করবে”

বিজেপি সরকারের পক্ষে সওয়াল অজিত পাওয়ারের, বললেন তাঁর নেতা শরদ পাওয়ার

Maharashtra: রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন অজিত পাওয়ার

মুম্বই/নয়াদিল্লি:

এনসিপি সুপ্রিমো এবং কাকাকে “সাহেব” বলে সম্মোধন করলেন অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar), বললেন, “আমাদের নেতা”। শনিবার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন তিনি, বলেন, তিনি এনসিপি ছাড়েননি।  শনিবার অজিত পাওয়ারকে এনসিপির পরিষদীয় নেতার পদ থেকে সরানো হয়। অজিত পাওয়ার ট্যুইটে লেখেন, “আমি এনসিপিতেই আছি, এবং শরদ পাওয়ার সাহেব আমাদের নেতা, আমি এনসিপিতেই থাকব । আমাদের বিজেপি এনসিপির জোট সরকার স্থায়ী সরকার গঠন করবে, যা আগামী পাঁচ বছর মহারাষ্ট্রের মানুষের কল্যাণে কাজ করবে”।

মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পরেই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্যান্য ২০জন বিজেপি নেতাদের ধন্যবাদ জানালেন অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar) । ট্যুইটে তিনি লেখেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ধন্যবাদ। আমরা মহারাষ্ট্রের মানুষের কল্যাণের জন্য স্থায়ী সরকার গড়ব”। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা ও এনসিপির জোটে সরকার গঠনের চেষ্টা চালিয়েছেন তাঁর কাকা শরদ পাওয়ার।

ট্যুইটারে নিজের প্রোফাইলে “উপমুখ্যমন্ত্রী, মহারাষ্ট্র, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস দলের নেতা” লিখেছেন অজিত পাওয়ার।

প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ট্যুইট করার পর, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকেও ট্যুইট করেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, “১মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, আপনার শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ”। এরপরে ট্যুইট করেন নীতিন গড়করি, নির্মলা সীতারামন, স্মৃতি ইরানি এবং রাজনাথ সিং কেও।

আরও যে  সমস্ত নেতানেত্রীদের তিনি ট্যুইট করেছেন, সেই তালিকায় রয়েছে, অম্রুতা ফড়নবিশ, রবি কিষাণ, বিএল সন্তোষ, ধর্মেন্দ্র প্রধান, অনুরাগ ঠাকুর, রামদাস আঠওয়ালে, মনসুখ মাণ্ডব্য, বিজয় রূপাণি, গিরি বাগপত, সুরেশ প্রভু, গজেন্দ্র সিং শেখওয়াত, মুক্তার আব্বাস নাকভি. সদানন্দ গৌড়া, জগৎপ্রকাশ নাড্ডা এবং পীযুষ গোয়েল।

সুর্যোদয়ের কিছুক্ষণ পরেই মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করেন অজিত পাওয়ার, তাঁর পরেই তাঁকে স্বাগত জানান অনেকে, তাঁরই উত্তর দিয়েছেন তিনি। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।

তবে এখনও বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে বিজেপিকে।

বিজেপির সঙ্গে এককাট্টা লড়াই শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেসের, দলের বিধায়কদের যাতে, দলত্যাগ না হয়, তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে। রবিবার তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হলে, সুপ্রিম কোর্ট জানায়, দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবিতে চিঠি, এবং রাজ্যপালের তাঁকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণের চিঠি দেখাতে হবে কেন্দ্রকে। সোমবার সকাল ১০.৩০টার মধ্যে ওই দুটি চিঠি আদালতে হাজির করতে হবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।

এদিন সন্ধ্যায় শীর্ষ আদালতের রায়ের পর, বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে সঙ্গে চাপে পড়ে যান দেবেন্দ্র ফড়নবিশও, আলাদা হোটেলে রয়েছেন এনসিপি ও শিবসেনা বিধায়করা। বৈঠকের একটি ছবি ট্যুইট করেছেন আদিত্য ঠাকরে।

বিজেপির দাবি, তাদের, এনসিপির ৫৪ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। তার পাল্টা দিয়ে শরদ পাওয়ারের দল জানিয়েছে, রাজ্যপালকে ভুল বুঝিয়েছেন অজিত পাওয়ার, জোটকে সমর্থনের চিঠি ব্যবহার করা হয়েছে। এনসিপির তরফে বলা হয়েছে, তাদের সঙ্গে রয়েছেন ৫০জন বিধায়ক, অজিত পাওয়ারকে যে বৈঠকে দলের পরিষদীয় নেতার পদ থেকে সরানো হয়, সেই বৈঠকে তাঁদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

.