জানা গিয়েছে, সনিয়া গান্ধিকে শরদ পাওয়ার বলেন, ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে অনেক কিছু আলোচনা করা বাকি
নয়াদিল্লি: এনসিপি এবং কংগ্রেসের সমর্থনে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের আশা ছিল শিবসেনা (Shiv Sena) শিবিরের, দুই দলের সঙ্গে জোটে আসনসংখ্যা দাঁড়াত ১৫৪, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে ৯টি বেশী। তাদের এই পরিকল্পনায় যা জল ঢালতে পারে, তা হল কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি এবং এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) ফোন কথোপকথন। সূত্রের খবর, সোমবার, তাদের আদর্শগত বিরোধী দল শিবসেনাকে সমর্থন করা নিয়ে নরম মনোভাব ছিল সনিয়া গান্ধির। তবে শরদ পাওয়ারের সঠিক সময়ের ফোন কলের পর, কংগ্রেসের অনিচ্ছা জোরালো হয়। সকালে, মহারাষ্ট্র নিয়ে একাধিক আলোচনা করে কংগ্রেস, শিবসেনাকে সমর্থনে প্রবল আপত্তি জানান সনিয়া গান্ধি।
কংগ্রেস সভানেত্রী মত, কট্টোর হিন্দুত্ত্ববাদী দল শিবসেনাতে সমর্থন নির্বাচনের ময়দানে কংগ্রেসের ক্ষতি করতে পারে—তাঁর সেই যুক্তিকে সমর্থন করেন একে অ্যান্টনি, কেসি বেণুগোপাল, এবং দিল্লির মহারাষ্ট্রের নেতা মুকুল ওয়াসনিক ও রাজীব শতাভ।
সনিয়া গান্ধিকে প্রথমবার ফোন করে সমর্থনের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানান উদ্ধব ঠাকরে (ফাইল ছবি)
তাঁদের সেই অবস্থানের পাল্টা ছিলেন সুশীলকুমার শিণ্ডে, অশোক চৌহ্বাণ, পৃথ্তিরাজ চৌহ্বাণ, বালাসাহেব থ্রোটের মতো মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতারা, তাঁদের যুক্তি পরিস্থিতি অনুযায়ী, বিজেপিকে ঠেকাতে শিবসেনাকে সমর্থন সঠিক পদক্ষেপ।
বিকেল ৫টার পর, সনিয়া গান্ধিকে প্রথমবার ফোন করেন উদ্ধব ঠাকরে, সমর্থনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানান তিনি। আলোচনার পর, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলে জানিয়ে দেন সনিয়া গান্ধি। তবে এক ঘন্টা পর, সনিয়া গান্ধির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন শরদ পাওয়ার,এবং এগিয়ে যাওয়া নিয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন, জানিয়ে দেন, শিবসেনাকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় আসেনি।
জানা গিয়েছে, সনিয়া গান্ধিকে শরদ পাওয়ার বলেন, ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে অনেক কিছু আলোচনা করা বাকি, এবং তিনি শিবসেনাকে সমর্থনের চিঠি দেননি বলে জানান।
রাজ্যপালের রিপোর্টের পরেই মহারাষ্ট্রে জারি রাষ্ট্রপতি শাসন
তিনি গুরুত্বপূর্ণভাবে জানান, শিবসেনার থেকে তাঁর দলের মাত্র দটি আসন কম রয়েছে। সেই মন্তব্যকে মনে করা হচ্ছে, শিবসেনা পূর্ণ সময়ের মুখ্যমন্ত্রীর পদকে মানা হবে কিনা, তা নিয়ে আবারও ভাবনাচিন্তা করছে এনসিপি। শরদ পাওয়ারের ক্ষমতা ভাগাভাগি চুক্তি নিয়ে ইঙ্গিতে আবাক হয়ে যান কংগ্রেস নেতারা।
ঘটনাক্রম এনসিপির অনুমানের বিপরীত হতে থাকে, যে তারা শিবসেনাকে সমর্থনে প্রস্তুত, তবে কংগ্রেস তা ভেস্তে দেয়। সংবাদমাধ্যমে এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার বলেন, “সোমবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৭.৩০টা পর্যন্ত, তাদের চিঠির জন্য অপেক্ষা করছিলেন আমাদের নেতা শরদ পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেলরা। তাদের ৭.৩০টার মধ্যএ চিঠি জমা দিতে হত। যদি কংগ্রেস তাদের সমর্থনের চিঠি না দেয়, তাহলে আমরী কীভাবে দিতে পারি”।
যদিও কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, ইউ-টার্ন নিচ্ছেন শরদ পাওয়ার, যা এসেছে শিবসেনাকে রাজ্যপালের দেওয়া সময়সীমা শেষের আগে, শুধুমাত্র শিবসেনাকে কংগ্রেসের সমর্থনে অনিচ্ছা তুলে ধরার জন্য।