This Article is From Nov 25, 2019

“আমরা ১৬২, এসে দেখুন”: মুম্বইয়ের হোটেলে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি বিধায়করা

সঞ্জয় রাউতের ট্যুইট: “আমরা সবাই একসঙ্গে রয়েছি, সন্ধে ৭টায় হায়াত হোটেলে আমাদের ১৬২ জন বিধায়ক একসঙ্গে থাকবেন, নিজেই এসে দেখুন, মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল”।

মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস

মুম্বই:

মুম্বইয়ের (Mumbai) পাঁচতারা হোটেলে দলের বিধায়কদের নিয়ে জমায়েত করল শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস, সরকার গঠনের দাবি জানানোর কয়েকঘন্টা পর “জোটের শপথগ্রহণ” করানো হল বিধায়কদের। এদিন সন্ধ্যায় বিধায়করা হাত তুলে শপথবাক্য পাঠন করেন, “আমি কোনও প্রস্তাবে পা দেব না। কোনওভাবেই বিজেপিকে সমর্থন করব না। দলবিরোধী কোনও কাজ করব না”। বিধায়কদের যে হলঘরে রাখা হয়েছিল, সেখানে পোস্টারে লেখা ছিল “আমরা ১৬২”,  পিছনে ছিল ভারতীয় সংবিধানের বিশাল ছবি। সেখানেই বিধায়করা একজোট হয়ে আলোচনা করেন, উপস্থিত ছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, ও তাঁর মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে, তাঁর ছেলে আদিত্য ঠাকরে, নিজস্বী তোলা, জয়সূচক চিহ্ন দেখান বিধায়করা।

৯টি সেচ দুর্নীতি মামলা বন্ধ, “অজিত পাওয়ারের সঙ্গে যোগ নেই” জানালেন আধিকারিকরা

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বলেন, “বড় আয়তনের ছবি তোলার মতো ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা” প্রয়োজন। তিনি বলেন, “আমরা সত্যমেব জয়তে তে বিশ্বাস করি। আমরা সবাইকে ভাঙন ধরাবার চ্যালেঞ্জ করছি”।

শরদ পাওয়ার বলেন, সমস্ত এনসিপি বিধায়করাই তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। এসিপি সুপ্রিমো বলেন, “এখানে ১৬২জন বিধায়ক রয়েছে, আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে”।

বিধায়কদের জমায়েতে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারিতে থাকার “আমন্ত্রণ” জানিয়েছিলেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। ট্যুইটে তিনি লেখেন, আমরা সবাই এক এবং একসঙ্গে রয়েছি, দেখুন আমাদের সন্ধে ৭টায় হায়াত হোটেলে আমাদের ১৬২ জন বিধায়ক একসঙ্গে থাকবেন, নিজেই এসে দেখুন, মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল”।

"গণতন্ত্রের হত্যা": মহারাষ্ট্রের চলতি নাটক নিয়ে সংসদে বললেন রাহুল গান্ধি

তিন দলের জোট, “মহারাষ্ট্র বিকাশ অগধি” বলা হয়েছে, সোমবার সকালে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে তারা সরকার গঠনের দাবি জানায়। তিনদিন আগে, শনিবার সকালে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন অজিত পাওয়ার, তাতে সবাই চমকে যায়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈঠকের আগে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন অজিত পাওয়ার, যেখানে তিনদল ঘোষণা করে, উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী জোট করবে তারা।

শরদ পাওয়ার বলেন, “অজিত পাওয়ার বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে তাঁর মাথায় আমার হাত রয়েছে, তবে তিনি নিজেই এটা করেছেন। তিনি ভেবেছিলেন, এনসিপি তাঁর সঙ্গে যাবেন, তবে তাঁরা যাননি। এটা মহারাষ্ট্র, গোয়া নয়, এবং আমরা জানি আগুন নিয়ে খেলা করে যারা, তাদের শিক্ষা দিতে আমরা জানি, বিশেষ করে শিবসেনার সঙ্গে, আমাদের তরফে। এখানে এই খেলা দিয়ে ক্ষমতা দখল করা যাবে না”, এনসিপি প্রধানের এই বক্তব্যে বিধায়কদের হাততালির ঝড় ওঠে।

মহারাষ্ট্র নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট

এই শক্তি প্রদর্শন খারিজ করে দিয়ে বিজেপি নেতা আশিস শেলার বলেন, “সন্দেহভাজন অপরাধীদের সনাক্তরণ হয়...এটা কোনও সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ নয। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির এটা একটা ব্যর্থ চেষ্টা। বিজেপি ও অজিত পাওয়ার জয় নিশ্চিত করবে। ১৪৫জন বিধায়ক কি ছিলেন”?

বিজেপিকে সরকার গঠনের দাবি জানান রাজ্যপাল, এবং তাদের দ্রুত সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলেন তিনি, এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে যায় শিবসেনা, এনসিপি এবং বিজেপি। মঙ্গলবার রায়দান করবে শীর্ষ আদালত।

নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে বিধায়কদের হোটেলে নিয়ে যায় তিনদল। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের পরীক্ষায় বিজেপির পরাজয় হবে বলে দাবি করেছে তারা। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে যে কোনও দলের ১৪৫জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন।

“কোনও বিজেপি জোট নয়”, গোলমাল পাকাতে চাইছেন অজিত পাওয়ার, বললেন শরদ পাওয়ার

শিবসেনা জানিয়েছে, নির্দলসহ ৬৩ জন বিধায়কের স্বাক্ষর করা পত্র তারা জমা দিয়েছে, কংগ্রেসের ৪৪ এবং এনসিপির ৫১ জনেরও সমর্থন রয়েছে। তিন দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সমাজবাদি পার্টিও এবং তাদের দলের দুই বিধায়কের স্বাক্ষর রয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে শিবসেনা-এনিসিপি-কংগ্রেস দাবি করে, তাদের পক্ষে ১৫৪ জনের সমর্থন রয়েছে। কয়েকজন বিধায়ক ফেরার পথে, সেই কারণে কিছু স্বাক্ষর নেই বলে দাবি করেছে এনসিপি।

সু্প্রিম কোর্টে বিজেপি জানিয়েছে, তাদের ১৭০জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে, তারমধ্যে ৫৪জন এনসিপির।

আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন: 

অজিত পাওয়ারের কাকা এবং এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন, দলের সঙ্গে রয়েছেন ৫৩জন বিধায়ক। এদিন সকালে রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে যে তিনজনের স্বাক্ষর নেই তাঁরা হলেন, অজিত পাওয়ার,আন্না বানসোড় এবং নরহরি ঝিরওয়াল।

.