মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Home Minister Amit Shah) আজ, মঙ্গলবার সকালেই সংসদের অভ্যন্তরে বৈঠক করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে আগামীকাল, বুধবার তাঁর সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেওয়ার পরই নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বৈঠক সারেন। সূত্রের খবর, দু'জনই মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের (Chief Minister Devendra Fadnavis) পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। যদিও দুজন কী সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন সে সম্পর্কে কোনও বিশদ তথ্য নেই। তবে সূত্রের খবর, এই বৈঠকের খবর মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরে ক্ষমতাসীন বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা আলোচনা করেছেন, দেবেন্দ্র ফড়নবিশের এই শক্তি পরীক্ষার মুখোমুখি হওয়া আদৌ উচিৎ, নাকি তাঁরও পদত্যাগ করাটাই পথ!
শনিবার বিজেপিকে সমর্থন করে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণকারী এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার আজ উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বিকেল সাড়ে ৩ টেয় যে সাংবাদিক সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন, তাতে তিনি অজিত পাওয়ারের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করবেন।
শনিবার বিজেপির এই বিস্ময়কর সরকার গঠনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি ফ্রন্টের দায়ের করা আবেদনের জবাবে আজ, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ফ্লোর টেস্টের নির্দেশ দিয়েছে। যা আগামীকাল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রোটেম স্পিকার রাজ্যের ২৮৮ জন বিধায়ককে শপথ গ্রহণ করানোর পরপরই এই ফ্লোর টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।
আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণের জন্য, মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই প্রধানমন্ত্রী আইনের একটি বিরল ধারা ব্যবহার করে ভোর ৫.৪৭-এ মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন বাতিল করে কেন্দ্র সরকারের আদেশ জারি করেন।
মহারাষ্ট্রে যে পদ্ধতিতে সরকার গঠন হয়েছিল তাকে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে। বিজেপির দাবি করেছে যে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ পাওয়ার আগে তারা ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থনের চিঠি রাজ্যপালকে দিয়েছিল।
বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর পরে, অজিত পাওয়ার তাঁর দল এনসিপির সমস্ত ৫৪ জন বিধায়কেরই সমর্থন দাবি করেন। তবে তার কাকা শরদ পাওয়ার এর বিরোধিতা করেন। গত তিন দিন ধরে ‘নিখোঁজ' থাকা এনসিপি বিধায়করা অবশ্য ফিরে এসেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিভ্রান্ত করার অভিযোগ করেছেন অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে।
গতকাল শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস মুম্বাইয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে তাদের বিধায়কদের রেখে জানিয়েছিল, “আমাদের কাছে ১৬২ জন রয়েছে।”