Maharashtra: বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছেন অজিত পাওয়ার, সেই পদক্ষেপ খারিজ করেছেন শরদ পাওয়ার
নয়াদিল্লি: বিজেপির টেবিলে তাঁর আনা বিধায়কদের সমর্থনপত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, রবিবার একাধিক ট্যুইট করে এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar) ইঙ্গিত দিলেন, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে বিজেপিকে সমর্থনের পরিকল্পনা জানতেন কাকা শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) । তরিঘরি সেই মন্তব্যের নিন্দা করে শরদ পাওয়ার জানালেন অজিত পাওয়ারের মন্তব্য “মিথ্যা এবং গোলমাল পাকাতে ভুল বোঝানো হচ্ছে”। এনসিপি সুপ্রিমো ট্যুইট করেন, “মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ার কোনও প্রশ্নই নেই। সরকার গঠনে শিবসেনা ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিপি। অজিত পাওয়ারের মন্তব্য মিথ্যা এবং গোলমাল পাকাতে ভুল বোঝানো হচ্ছে এবং মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে”।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পদে আসেন অজিত পাওয়ার। অজিত পাওয়ারের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন শরদ পাওয়ার, বলেন, বিজেপিকে এনসিপি বিধায়কদের সমর্থনের ভুল চিঠি দিয়ে রাজ্যপালকে ভুল বুঝিয়েছেন তাঁর ভাইপো। তাঁর তরফে উদ্ধব ঠাকরে ঘোষণা করেন, জোটের পক্ষে রয়েছে তাঁর দল এবং তাঁর ভাইপের পক্ষে মাত্র কয়েকজন বিধায়ক।
অজিত পাওয়ার ট্যুইটে লেখেন, “আমি এনসিপিতেই আছি, এবং শরদ পাওয়ার সাহেব আমাদের নেতা, আমি এনসিপিতেই থাকব । আমাদের বিজেপি এনসিপির জোট সরকার স্থায়ী সরকার গঠন করবে, যা আগামী পাঁচ বছর মহারাষ্ট্রের মানুষের কল্যাণে কাজ করবে”।
আরেকটি ট্যুইটে অজিত পাওয়ার লেখেন, “উদ্বেগের কোনও কারণ নেই, সব ঠিক আছে। কিছুটা ধৈর্যের প্রয়োজন। সকলের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ”।
মহারাষ্ট্র সম্ভাব্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ভোটের আগেই, এই ট্যুইট, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য সরকারপক্ষের আরও ৪০ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। বিজেপির রয়েছে ১০৫জন বিধায়ক। শিবসেনা এবং এনসিপির দাবি, অজিত পাওয়ারের পক্ষে মাত্র চারজন বিধায়ক।
এনসিপির তরফে বলা হয়েছে, তাদের দলের সব বিধায়কদের সমর্থন তাদের দিকেই রয়েছে, এনসিপির তরফে বলা হয়েছে, তাদের সঙ্গে রয়েছেন ৫০জন বিধায়ক, অজিত পাওয়ারকে যে বৈঠকে দলের পরিষদীয় নেতার পদ থেকে সরানো হয়, সেই বৈঠকে তাঁদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির দাবি, তাদের, এনসিপির ৫৪ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে।
মহারাষ্ট্রে এখনই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ নয়, ২টি চিঠি চাইল সুপ্রিম কোর্ট
রাজ্যপালের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় তিন দল, পাশাপাশি দ্রুত সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের দাবি তুলেছে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস। যদিও রবিবার সেই নির্দেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবিতে রাজ্যপালকে চিঠি, এবং তাঁকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়ে রাজ্যপালের চিঠি জমা দিতে হবে। সোমবার সকাল ১০.৩০টার মধ্যে ওই চিঠি জমা দিতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
চিঠি জমা দেওয়ার জন্য আরও সময়ও চায় তারা, তবে তা খারিজ করে দেয় আদালত
২০১৮ সালে, আস্থা ভোটের নির্দেশ দেওয়ার পর, সংখ্যা নেই বলে যুক্তি দেখিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়া বিএস ইয়েদুরাপ্পা।
তাদের আবেদনে, তিনদলের দাবি, সরকার গঠনের জন্য দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে আমন্ত্রণ জানানোর আগে, তাঁর সংখ্যাগরিষ্ঠতা খতিয়ে দেখা “দায়িত্ব” রাজ্যপালের। তাদের দাবি, এটা দেখা যায়, তখন, যখন শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস সরকার গঠনের দাবি জানানোর উদ্যোগ নেয়।