হাইলাইটস
- অন্ধবিশ্বাসের জেরে স্ত্রীর প্রতি নির্যাতন
- গুপ্তধনের লোভেই করেছে এমনটা
- ভুল হলে মার খেতে হোত
নিউ দিল্লি: মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলায় স্বয়ম্ভু বাবার পরামর্শ অনুসারে লুকানো গুপ্তধন লাভের আশায় এক ব্যক্তি প্রায় ৫০ দিন অনাহারেই রেখেছিলেন নিজের স্ত্রীকে। সারাদিনে নামমাত্র খাবার খেতে দেওয়া হোত এই মহিলাকে। শোগ্রাম থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ব্যক্তির সাথে ২০১৮ সালের আগস্টে বিয়ে হয় এই মহিলার। এক স্বয়ম্ভু বাবা মহিলার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের বলে, এই মহিলাকে অভুক্ত রেখে যদি তাকে দিয়ে কিছু আচার অনুষ্ঠান করানো যায়, তাহলে তারা অবশ্যই 'গুপ্তধন লাভ' করতে সক্ষম হবে।
অযোধ্যা মামলায় মধ্যস্থতাকারীদের থেকে রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, বিয়ের প্রথম দিন থেকেই এই মহিলার ওপর অত্যাচার শুরু হয়ে গেছিল। তাকে একটা কচ্ছপ সহ বিভিন্ন বস্তু দেওয়া হয় এবং তাকে বিভিন্ন রকম আকাহ্র অনুষ্ঠান পালন করতে বাধ্য করা হয়। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, এই মহিলাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন হয় করতে হয়। সেই সাথে ৫০ দিন নামমাত্র খাদ্য দেওয়া হয়েছিল তাকে। প্রতিদিন মাঝরাতে (পৌনে তিনটের সময়) তাকে দিয়ে পূজা করানো হোত, এইসময় যদি সে কোনো রকম ভুল করে ফেলত তাহলে তাকে মারা হোত।
মেয়েটির বাবার মনে সন্দেহ জাগে, সে মেয়েকে দেখার জন্য মেয়ের শ্বশুর বাড়ি গিয়ে উপস্থিত হয়। সেখানে গিয়ে তার অবস্থা দেখে স্তব্ধ হয়ে যায় সে। তারপর সে মেয়েকে নিজের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি চলে আসে এবং তার মুখ থেকে বিস্তারিত ভাবে সব শোনে।
''ভারত জিতে গেছে বিশ্বকাপ'' টুইট করে জানালেন আমির খান
এই ঘটনা শোনার পর মহারাষ্ট্রের 'অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতি' পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে এবং এই মহিলার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করার দাবি জানায়। ঘটনাটি জানার পর উপযুক্ত ধারায় মামলা করা হয় এবং এই মহিলার স্বামী সহ স্বয়ম্ভু বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
Video: গণপ্রহারের ভিডিও এবার টিকটকেও!