This Article is From Oct 02, 2019

প্রজ্ঞা ঠাকুরের গডসকে নিয়ে মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে বিঁধল কংগ্রেস

বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরকে (Pragya Thakur) “হিংসার পুজারি” বলে তুলে ধরে পোস্টার বের করেন স্থানীয় নেতারা, তাঁকে গান্ধিজির বিরোধী বলেও তুলে ধরা হয়েছে

প্রজ্ঞা ঠাকুরের গডসকে নিয়ে মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে বিঁধল কংগ্রেস

নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমী বলেন প্রজ্ঞা ঠাকুর, যা নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়

ইন্দোর:

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্বে মহাত্মা গান্ধির হত্যাকারী নাথুরাম গডসের প্রশংসা করেছিলেন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর (Pragya Singh Thakur)। গান্ধিজির ১৫০ তম জম্ম বার্ষিকিতে প্রজ্ঞা ঠাকুরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে পোস্টার বের করল মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস। স্থানীয় নেতা বিবেক খাণ্ডেলওয়াল এবং গিরিশ যোশী এই পোস্টার বের করেন, সেখানে, ভোপালের বিজেপি সাংসদকে “হিংসার পুজারি” বলে তুলে ধরা হয়েছে, পাশাপাশি তাঁকে গান্ধিজির বিরোধী বলেও বর্ণনা করা হয়েছে পোস্টারে।  প্রজ্ঞা ঠাকুরের মন্তব্যের পর তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেও সরব হয়েছেন তাঁরা। পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে, “যে দল গডসেকে সম্মান জানায়, তারা কি প্রজ্ঞা ঠাকুরকে বহিষ্কার করবে ? যারা গান্ধিজির জন্মদিনে নাটক করেছে, তাদের জবাব দিতে হবে”।

বাপুকে ‘অপমান করায়' সাধ্বীকে কোনও দিনে ক্ষমা করবেন না মোদী

ইন্দোরের রিগাল স্কোয়্যার সংলগ্ন এলাকায় দিগ্বিজয় সিং, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বালা বচ্চনসহ একাধিক কংগ্রেস নেতা, গান্ধিজির জন্মদিনের একটি অনুষ্ঠান করেন, সেখানেই পোস্টার লাগানো হয়। চলতি বছরে, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের সময়, নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমী বলে মন্তব্য করেন ২০০৮ মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুর, তাঁর সেই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

dip6nf4s

ইন্দোরে গান্ধি মূ্র্তি সংলগ্ন এলাকায় পোস্টার সাঁটানো হয়

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় প্রজ্ঞা ঠাকুর বলেন, “নাথুরাম গডসে ছিলেন একজন ‘দেশভক্ত', রয়েছেন, এবং তা থাকবেন। যারা তাঁকে সন্ত্রাসবাদী বলে, তাঁদের ভিতরের দিকটা দেখা উচিত...এই নির্বাচনে উপযুক্ত জবাব পাবে তারা”।

তাঁর এই  মন্তব্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেয় বিরোধীরা, প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বিতর্ক থেকে দূরত্ব তৈরি রাখে বিজেপি, তাঁদের দাবি, এই মন্তব্যের নিন্দা করে দল এবং প্রকাশ্যে “ক্ষমা প্রার্থনার” দাবি তোলা হয়। পরে ক্ষমা চান প্রজ্ঞা ঠাকুর।

নির্বাচনের পরে, আবারও বিতর্কে জড়ান প্রজ্ঞা ঠাকুর। একটি সভায় বিজেপি কর্মীদের তিনি বলেন, নর্দমা এবং শৌচালয় পরিষ্কার করার জন্য নির্বাচিত“ হননি তিনি। অনেকেই পরে, তাঁর এই মন্তব্যকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অবমাননা বলে মন্তব্য করেন।

বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য নাম রয়েছেন প্রজ্ঞা ঠাকুরের। অগস্টে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মৃত্যুর পর, বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিজেপির নেতাদের ক্ষতিসাধন করতে “গুপ্তবিদ্যা বা যাদুটোনা” করার অভিযোগ তোলেন।

.