Read in English
This Article is From Jan 31, 2019

প্রতিকৃতিতে গুলি করে মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করল হিন্দু মহাসভা!

mahatma-gandhi-death-anniversary-2019: গোটা দেশেই পালিত হয়েছে  দিনটি। শ্রদ্ধায় স্মরণে মহত্মা গান্ধীর মৃত্যুদিনে তাঁর কথা  মনে করেছে ১২৭  কোটির দেশ।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

Highlights

  • সালের ৩০ জানুয়ারির স্মৃতি উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে ফিরে এলো অন্য ভাবে
  • যে কায়দায় সেদিন গান্ধীজিকে হত্যা করা হয়েছিল সেটার পুননির্মাণ করা হল
  • ডসের মূর্তিতে মালা দেওয়া হল, মিষ্টিও বিতরণ করা হয়
লখনউ:

 গোটা দেশেই পালিত হয়েছে  দিনটি। শ্রদ্ধায় স্মরণে মহত্মা গান্ধীর মৃত্যুদিনে তাঁর কথা  মনে করেছে ১২৭  কোটির দেশ। নতুন করে তাঁর দেখানো পথে চলার শপথ নিয়েছেন অনেকে। কিন্তু ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারির স্মৃতি উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে ফিরে এলো অন্য ভাবে। যে  কায়দায় সেদিন গান্ধীজিকে হত্যা করা হয়েছিল সেটার পুননির্মাণ করা হল!  জাতির জনককে হত্যা  করেন নাথুরাম গডসে। তিনি হিন্দু মহাসভার সদস্য  ছিলেন। সেই হিন্দু মহাসভাই বুধবার এভাবে গান্ধীজির মৃত্যুদিন ‘পালন' করল। পাশাপাশি গডসের মূর্তিতে  মালা দেওয়া  হল, মিষ্টিও বিতরণ করা হয়। গোটা ঘটনা নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে  রাজনৈতিক মহলে।            

আরও পড়ুনঃ কাঁথির সংঘর্ষের প্রতিবাদে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করবে বিজেপি                       

সোশ্যাল  মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি  ভিডিয়োয় দেখা  যাচ্ছে হিন্দু মহাসভার জাতীয় সম্পাদক পুজা পান্ডে  গান্ধীজির প্রতিকৃতিতে  গুলি করছেন। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন  তাঁদের সংগঠনে এই নতুন কায়দায় গান্ধীজির মৃত্যু দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দশেরায় যেভাবে রাবণ দহন হয় সেভাবেই এই ব্যাপারটাকে  করা হবে। এই দিনটিকে  সৌর্য দিবস হিসেবে  দেখে  হিন্দু মহাসভা।

Advertisement

১৯৪৯ সালের ৩০ জানুয়ারি হত্যার পর ওই বছরের ৮ নভেম্বর ফাঁসির সাজা হয় নাথুরামের। তার আগে চলে  আইনি প্রক্রিয়া। গান্ধীজির দুই ছেলে না চাননি গড়সের ফাঁসি হোক। কিন্তু তৎকালীন ভারত সরকার নভেম্বর মাসেরই ১৫ তারিখ  আম্বালা জেলে নাথুরামের ফাঁসির ব্যবস্থা করে।
এই প্রথম নয় এর আগেও গড়সেকে মহান প্রতিপন্ন করার  কাজ করেছে হিন্দু মহাসভা। ২০১৫ সালে সংগঠনের তরফে বলা হয়েছিল তারা কর্নাটকের ছ'টি জেলায় গড়সের মূর্তি বসাতে চায়।

গান্ধীজির হত্যা নিয়ে চর্চা  হয়ে আসছে  শেষ সাত দশক ধরে। বিভিন্ন সময় নতুন নতুন তথ্য সংযোজিত হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে  ঘটনাটিকে আলাদা আলাদা দৃষ্টিকোণ থেকে  ব্যাখ্যাও  করা হয়েছে। এআইএমএম-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি একবার বলেছিলেন গান্ধীজির হত্যা ধর্মীয় সংগঠনের মদতে হওয়া স্বাধীন ভারতের প্রথম সন্ত্রাসবাদী হামলা।

Advertisement
Advertisement