ঘটনাটা জানা যায় নবজীবন পত্রিকার 1929 সালের একটি প্রবন্ধ থেকে। তাতে আমেদাবাদের আশ্রমের কয়েকজন আবাসিকের সমালোচনায় সরব হন মহাত্মা গান্ধি। সেই তালিকায় ছিলেন তাঁর স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধিও। এই ঘটনাটা সত্যের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতাকে প্রমাণ করে। এই প্রবন্ধে স্ত্রী সম্পর্কে মহাত্মা বেশ কয়েকটি বিষয় প্রকাশ্যে এনেছেন। বলেছেন তাঁর সংসার জীবনের প্রতি মোহের কথা। ওই প্রবন্ধের এক জায়গায় মহত্মা কয়েকটি ঘটনার কথা লিখেছেন। স্ত্রীয়ের সেই সমস্ত আচরণ দেখে তাঁর মনে হয়েছিল সেগুলি আশ্রমের আইন বিরুদ্ধ। সেরকমই কয়েকটি ঘটনার বিবরণ দেওয়া আছে প্রবন্ধে।
আজীবন অহিংসার বাণী প্রচার করে আসা মহাত্মা লিখেছেন ‘ দু- এক বছর আগে তিনি( কস্তুরবা) নিজের কাছে এক হাজার টাকা রেখে দিয়েছিলেন। সেই সব টাকা অনেকের থেকে তাঁর কাছে এসেছিল। কিন্তু আশ্রমের নিয়ম অনুযায়ী কোনও কিছু নিজের কাছে রেখে দেওয়া যায় না। এমনকী যেটা শুধু তাঁর জন্য এসেছে সেটাও নিজের কাছে রাখার নিয়ম নেই। তাহলে নিজের কাছে টাকা রেখে দেওয়া আইনবিরুদ্ধ।’ আর স্ত্রীয়ের কাছে যে টাকা রাখা আছে সে খবর মহত্মা জানতে পারেন অদ্ভুত ভাবে। আশ্রমের একদিন চোর আসে। সে কিছুই নিতে পারেনি কিন্ত তার জন্যই প্রকাশ্যে এসেছিল ঘটনাটি। আর তাই চোর আসার ব্যাপারটা তাঁর কাছে সৌভাগ্যের বলে মনে হয়েছিল। অন্য একটি ঘটনার কথা আছে লেখায়। সেটিও টাকা সংক্রান্ত। একবার আশ্রম্যা আসা এক ব্যক্তি কস্তুরবা গান্ধিকে চার টাকা দেন । সেই টাকা আশ্রম অফিসে জমা না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন কস্তুরবা। স্ত্রীয়ের এই আচরণ মহাত্মার কাছে চুরির নামান্তর।
গোটা ব্যাপারটায় অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না গান্ধিবাদী আয়াপ্পান পিল্লাই। জীবনে 106 টি বসন্ত পেরিয়ে আসা এই স্বাধীনতা সংগ্রামী সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন গান্ধি ছিলেন সত্যের অবতার। অন্যদিকে ওই প্রবন্ধে গান্ধিজি শুধুই যে স্ত্রী কস্তুরবার সমালোচনা করেছেন তা নয়, এক জায়গায় লিখেছেন তাঁর আত্মত্যাগের কথা।