Read in English
This Article is From Jun 01, 2018

"ভোটারের থেকে তো সিআরপিএফ বেশি ছিল", উপনির্বাচনে বিশাল জয়ের পর তোপ দাগলেন মমতা

বিরোধীরা রাজ্যের নির্বাচনের জন্য বহুবার প্যারামিলিটারি ফোর্সের দাবি জানিয়েছিল কেন্দ্রের কাছে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

তৃণমূলের জয়ের ঢেউ - আর কিছু বলার নেই - মার্জিন 12 হাজার থেকে শুরু করে 62,000

মহেশতলা: পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের দিন  শাসকদলের রিগিং, বুথদখল, হিংসার অভিযোগকে প্রায় ধূলিসাৎ করে দিয়ে গতবারের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি ভোট নিয়ে মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হল তৃণমূল।

বিরোধীরা রাজ্যের নির্বাচনের জন্য বহুবার প্যারামিলিটারি ফোর্সের দাবি জানিয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। এমনকি, কয়েকদিন আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই দাবি জানিয়েছিল তারা। তাদের অভিযোগ ছিল, রাজ্যের পুলিশ কোনওভাবেই নিরপেক্ষ নয়। তারা শাসকদলের হয়েই কাজ করে। এই সব কারণেই, মহেশতলা উপনির্বাচনের জন্য নয় কোম্পানি প্যারামিলিটারি ফোর্স পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্র থেকে। কিন্তু, তাতেও রোখা যায়নি তৃণমূলের বিজয়রথ।

"মহেশতলায় তো ভোটারের থেকে সিআরপিএফ বেশি ছিল"। ফল প্রকাশের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন। "কয়েকটা বুথে তো বাঙ্কারও তৈরি করা হয়েছিল! ভোট হচ্ছে না ওয়াটারলুর যুদ্ধ হচ্ছে, তা বোঝা দায়। তবে, আপনারা এর পরেও আমাদের মার্জিনটা দেখতেই পেয়েছেন"। বলেন তিনি।

"আমাদের সঙ্গে চক্রান্তের চেষ্টা করছিল যারা, মানুষই তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। এখন তো তারা আর বলতে পারবে না যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ওখানে ছিল না"। বলেন মমতা। 

Advertisement

 



 ফল প্রকাশের পর শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন কেন তাঁর দল একা লড়াই করেছিল। কংগ্রেস-সিপিএমের মধ্যে ডিল হওয়া নিয়ে তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন,  " সিপিএম আর কংগ্রেসের তো এক প্রার্থী ছিল"।

Advertisement
যদিও, এই ডিল হওয়া সত্ত্বেও, গতবারের থেকে অন্তত 50000 ভোট কম পেয়ে সিপিএম তৃতীয় স্থান লাভ করেছে। 

বিজেপি গতবারের থেকে 25000'এরও বেশি ভোট পেয়েছে। 14000 থেকে সরাসরি পৌঁছে গিয়েছে 42000-এর মার্জিনে।

Advertisement
তবে, সবাইকে টপকে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। 12000-এর মার্জিন থেকে তারা পৌঁছে গিয়েছে 62000-এ।


"বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে মানুষ"। বলছিলেন তৃণমূল সাংসদ এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই এই মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রের অবস্থান। 

Advertisement
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিস্তৃত ভাষণে শুধু যে ভোটের কথাই বলেছেন, তা নয়। পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মীর খুন হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে আরএসএসের সদর দফতরে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আসন্ন যাত্রা নিয়েও বলেন তিনি। প্রণবের ব্যাপারে বলতে গিয়ে বলেন, "ওটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তাই নিয়ে আমাদের কিছুই বলার নেই"।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন তাঁদের দলের এবার লক্ষ্য কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে  ক্ষমতাচ্যুত করা। "আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেরকমই বলেছেন"। বলেন পার্থ।

Advertisement