গত সপ্তাহে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে সংসদে ভাষণে ঝড় তোলেন মহুয়া মৈত্র
নয়াদিল্লি: লোকসভায় বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) প্রায় ২ ঘন্টার ভাষণ “রূপকথার গল্প এবং মধ্যবিত্ততার মিশ্রণ”, এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) । সংসদে এর আগেও একাধিকবার ভাষণ দিয়ে শিরোনামে এসেছেন তিনি, এদিন সংবাদসংস্থা এএনআইকে মহুয়া মৈত্র বলেন, “এটা রূপকথার গল্প এবং মধ্যবিত্ততার মিশ্রণ ছিল। আমাদের প্রায় ২ ঘন্টা বসে থাকতে হয়েছিল, সেই জন্যই ছিলাম”। প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “অবশেষ ঢেউ থামল। এখন, যখন আমরা কোনও বিষয়ে কথা বলি যেমন, সাংবিধানিক মূল্য, গণতন্ত্র, তাঁর কথগুলি শুধুমাত্র সংসদেই নয়, সংসদের বাইরেও ফাঁকা ঘুরে বেড়ায়। রাস্তার মানুষ জেগে উঠেছেন”।
“২০১০ সালে আসে এনপিআর, কেন বিরোধীরা মানুষকে বোকা বানাচ্ছে”, তোপ প্রধানমন্ত্রীর
বৃহস্পতিবার সংসদের দুই কক্ষেই ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের ইস্যুতে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের তোপ দাগেন তিনি।
অগস্টে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক নিষেধাজ্ঞা চলছে, এগিন জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, “তিনি কাশ্মীরীদের স্বাধীনতার কথা বলছেন...এটা বিদ্রুপাত্মক যে, জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে প্রবীণ নেতা-ফারুক আবদুল্লা বাড়িতে নেই”। অগস্ট থেকেই আটক করে রাখা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, এবং মেহবুবা মুফতিকে।
"নেহেরু কি হিন্দু রাষ্ট্র চেয়েছিলেন?" দেশভাগ নিয়ে কংগ্রেস-নেহরুকে তোপ মোদির
সোমবার নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সংসদে ভাষণে ঝড় তোলেন মহুয়া মৈত্র। বিজেপির বিরুদ্ধে “সবকা সাথ সবকা বিকাশের” মন্ত্রোচ্চারণ করে ভোট নিয়ে “মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা” করার অভিযোগ তুলে নিন্দা করেন মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, “নাগরিকদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে আপনি যাদের ভোটে ক্ষমতায়, তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন”।
আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন:
নয়া নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে এই প্রথমবার ভারতে, নাগরিক হওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মকে রাখা হয়েছে। তিন মুসলিম অধ্যুষিত দেষ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের অমুসলিম নাগরিক, যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই আইনটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক, এই অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ।