মহুয়া মৈত্র বলেন, গরীবদের তথ্য নয়, পরিষেবা দেওয়ার জন্য আধার।
নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার লোকসভায় আধারের বিরোধিতায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বিলটি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করে এবং তাতে স্বচ্ছতার ঘাটতি রয়েছে। বিলটি নিয়ে আরও স্বচ্ছতার দাবি তুলে মহুয়া মৈত্র বলেন, “আমি কীভাবে বিলটি নিয়ে বিতর্ক করব এবং যে সম্পর্কে আমি নিজে জানিনা, সে সম্পর্কে কীভাবে ঐক্যমত্য গড়ে তুলব, যা স্বচ্ছ নয়”। মহুয়া মৈত্র বলেন, “বিলটি একজনের মৌলিক জায়গায় আঘাত করে, এবং গোপন তথ্যে আঘাত করে। যে সম্পর্কে বলতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই সংশোধনী বিলে তিনটি সংস্যা জর্জরিত বিষয় রয়েছে”।তিনি বলেন, গরীবদের থেকে তথ্য নেওয়া নয়, তাঁদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য আধার করা হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ বলেন, “বেসরকারি সংস্থাকে তথ্য দেওয়ার একটি রাস্তা হয়েছে আধার, আমার যে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, আমার টেলি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা, আমার বায়োমেট্রিক তথ্যে তাদের কোনও প্রয়োজন নেই”।
‘‘দেশে ফ্যাসিবাদ চলছে'': সংসদে প্রথম ভাষণেই সাড়া ফেললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র
মহুয়া মৈত্র বলেন, “আমি আমার সবচেয়ে ব্যক্তিগত তথ্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিচ্ছি। যদি আধার ইকোসিস্টেম ব্যর্থ হয়, তখন বলা হবে, নিরাপদ পদ্ধতি রয়েছে, তবে আমি জানি না সেই উপায়টা কী। তারা ঠিকমতো জানায়নি”।
বিলের ৫ নম্বর ধারাটি নিয়ে তিনি বলেন, “আজকের দিনে গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার কোনও মান নেই। কোনও তথ্য নিরাপদ আইন নেই। তথ্য নিরাপদ আইন ছাড়া, আপনি কীভাবে আমার ব্যক্তিগত তথ্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিতে বলেন? এটা বিলে অন্যরকম ব্যাপার, ঘোড়ার আগে কখনও গাজ়ি যেতে পারে না। আপনারা আমায় বিকল্প দিতে পারেন, সঠিক নকশা দিন, আমরা ঐক্যমত্যে পৌঁছাব, কোনও সমস্যা নেই”।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)