This Article is From Mar 20, 2020

৩১ মার্চ পর্যন্ত ঝাঁপ বন্ধ রাখছে ওহ! ক্যালকাটা, মেইনল্যান্ড চায়না

এই রেস্তোরাঁর দেশজোড়া বিপণীগুলো আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। প্রায় ৪ হাজার কর্মীকে বাড়িতে থাকতেই নির্দেশ দিয়েছে রেস্তোরাঁর ম্যানেজমেন্ট।

৩১ মার্চ পর্যন্ত ঝাঁপ বন্ধ রাখছে ওহ! ক্যালকাটা, মেইনল্যান্ড চায়না

তার মধ্যে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাময়িক ভাবে ঝাঁপ ফেলতে চলেছে দেশের প্রথমসারির এক রেস্তোরাঁ। (ছবি প্রতীকী)

একে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে, তাঁর ওপর ভোজন রসিক। কিন্তু এই দুই সাধকেই এবার জলাঞ্জলি দিতে হবে বাঙালির। সামাজিক দূরত্ব বজায়ের স্বার্থে ঘুরতে যাওয়া বারণ। তার মধ্যে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাময়িক ভাবে ঝাঁপ ফেলতে চলেছে দেশের প্রথমসারির এক রেস্তোরাঁ। সেই রেস্তোরাঁর দেশজোড়া বিপণীগুলো আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। প্রায় ৪ হাজার কর্মীকে বাড়িতে থাকতেই নির্দেশ দিয়েছে রেস্তোরাঁর ম্যানেজমেন্ট। গণ জমায়েত এড়াতে এই সিদ্ধান্ত। ফলে ঘরে বসে থেকে স্বাদ বদলের ইচ্ছা হলেও, বাঙালির পূর্ণ হবে না সেই সাধ। কারণ এই সিদ্ধান্তের জেরে বন্ধ থাকবে মেইনল্যান্ড চায়না, ওহ! ক্যালকাটা ও হপ্পিপোলার মতো রেস্তোরাঁগুলো যাদের হোম ডেলিভারির সুবিধাও আছে। ইতিমধ্যে করোনা গুজবে মুরগি দূর অস্ত খাসির মাংস পর্যন্ত ছুঁয়ে দেখছিল না তিলোত্তমা! এই আশঙ্কা কতটা সত্যি? নাকি নিছক গুজব পুরোটাই? তবে গণজমায়েত এড়াতে রেস্তোরাঁয় মানুষের ভিড় কমেছে, এটা সত্যি! হোম ডেলিভারি যাঁরা দেন তাঁদের ব্যবসায় কি তবে মন্দা? ক্রেতারা কেমন খাবার খেতে বেশি চাইছেন, নিরামিশ না আমিষ? এসব নিয়ে চর্চা খাদ্যরসিক বাঙালির অন্দরমহলে। এমনই একটা রেস্তোরাঁ আউধ ১৫৯০।

জানা গিয়েছে, দেশপ্রিয় পার্ক, বালিগঞ্জ, বিধাননগর, যশোর রোডের চারটি আউটলেটে সামান্য ভিড় কমেছে ভোজন রসিকদের। বদলে বেড়েছে হোম ডেলিভারি। ভিড় এড়াতে আপাতত বাড়িই ভরসা। সেখানেই চর্বচোষ্যলেহ্যপেয় জমিয়ে খাচ্ছেন বাঙালি। মাছ, মাংস, ডিম---কিছুতেই অরুচি নেই কারোর। বরং যাঁরা খেতে আসছেন বা অর্ডার দিচ্ছেন বাড়ির জন্য, তাঁরা মাংস না পেলে মনখারাপ করছেন! চিকেনে চিনে ভাইরাস করোনা লুকিয়ে, এই গুজব মোটেই পাত্তা দিচ্ছেন না শহরবাসী। এবার দেখার মেনল্যান্ড চায়না, ওহ! ক্যালকাটার পথে হেঁটে আউধ সেই সিদ্ধান্ত লাগু করে কিনা। করলে ঠিক কতটা পেট টান দিতে পারে বাঙালি, এখন সেটাও পরীক্ষা ভোজনরসিক বাঙালিদের কাছে।   

"মুম্বইয়ে ট্রেন বন্ধ করতে বাধ্য হব যদি....."কেন বললেন উদ্ধব ঠাকরে

এদিকে, "বাঙালি বিখ্যাত কিসে? কেন! মিষ্টি, দুগ্গাপুজো আর Fish-এ"- এই যদি বাঙালি আর বাঙালিয়ানা সম্বন্ধে ধারণা হয় তবে সেই সংস্কৃতি মজ্জায় মজ্জায় ধারণ করেছে রেস্তোরাঁ Sheherwali cuisine। ইতিহাস বলছে, ৩০০ বছরের পুরনো এই সংস্কৃতির প্রথম পত্তন Oswal Jain Community-র হাতে। ১৮ শতকের সেই সম্প্রদায় এসেছিল মরু দেশ রাজস্থা থেকে। বালির দেশের মানুষেরা বাংলায় এসেছিলেন ব্যবসা করতে। তারপর থাকতে থাকতে প্রেম পড়েছেন বাংলার, বাঙালিয়ানার। সেই প্রেম তাঁদের বসতি স্থাপনে বাধ্য করেছে মুর্শিদাবাদে। তখন বাংলায় নবাবদের বোলবোলাও। ওই বিশেষ সম্প্রদায়ের তিন ব্যবসায়ী একসময় প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন বাংলায়।

করোনা আক্রান্ত গায়িকা কণিকা কাপুরের সংস্পর্শে আসায় তিনজন রাজনীতিবিদ আইসোলেশনে

 তিলোত্তমার মন পেতে এরপর তাঁরা আঁকড়ে ধরেন ধুতি, কুর্তা, পাঞ্জাবি, শাড়ি। খাবারেও জাগে বাঙালি আস্বাদ। সেই পরপ্মরাকে টিঁকিয়ে রাখতেই জন্ম এই রেস্তোরাঁর। যেখানে ষোল আনা বাঙালিয়ানার আভিজাত্য, গর্ব, ঐতিহ্য হাত ধরাধরি করে থাকে এক ছাদের নীচে। Murshidabad Heritage Development Society-র পক্ষ থেকে এই রেস্তোরাঁ সম্বন্ধে বলা হয়েছে, "ভেজ থেকে নন ভেজ হয়ে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের আঘ্রাণ পাওয়া যাবে এখানকার খাবারের মেনুতে। খাঁটি ঘি, পাঁচ ফোড়ন, জাফরান, গোলাপ জল, কাজু, কিসমিশ মেওয়া এবং রকমারি ভারতীয় মশলা দিয়ে রান্না করা সমস্ত পদ তাই অমৃততুল্য। বাঙালি, রাজস্থানি, আফগানি হয়ে মোগলাই--- যা চাইবেন তাই-ই মিলবে সহজেই। মিলবে মাছ, মিষ্টি অ্যান্ড মোর...।" তাহলে এবার এই রেস্তোরাঁর ভবিষ্যৎ কী? চাহিদা মেনে কি ঝাঁপ ফেলতে হবে আপাত ভাবে? না খাড়া করবে কোনও বিকল্প? এমনিতেই করোনা সংক্রমণে তলানিতে অতিথি আপ্যায়ন শিল্প তথা হোটেল ব্যবসা। গত এক সপ্তাহ-দশ দিন অতিথির অভাবে মাছি মারছে আবাসিক হোটেলগুলো। এবার রেস্তোরাঁতে তালা ঝুললে আরও ধুঁকবে এই শিল্প, দাবি বিশেষজ্ঞদের। 

এদিকে, পাইকারি বাজারে আলুর দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা ছুঁয়েছিল। কিন্তু ইবি ও কাউন্সিলের হস্তক্ষেপে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই দাম ১৮ টাকা কেজি প্রতি নেমেছে বলে খবর। 

.