এই ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পূর্ত দফতর ও রেলের
কলকাতা: ভেঙে পড়ল মাঝেরহাট ব্রিজ। উদ্ধারকার্য এবং রাজনৈতিক দলগুলির একে অপরকে দোষারোপের পালাও শুরু হয়ে গেল প্রায় একইসঙ্গে। বিরোধীরা দাবি করল, সরকারের গাফিলতির জন্যই এই ব্রিজটি ভেঙে পড়ল। সরকার যদি ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের দিকে একটু ভালো করে নজর দিত উদাসীনতা কাটিয়ে, তাহলে এত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কখনওই ঘটত না বলে দাবি তাদের। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এই ধুর্ঘটনাকে ‘ভয়াবহ বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেন। “আমি উদ্ধারকার্য কেমন চলছে তা দেখতে এলাম। আমি শুনলাম এই ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পূর্ত দফতর ও রেলের। কেন ঘটল এত বড় দুর্ঘটনা, তার সরেজমিনে তদন্ত দরকার”, সাংবাদিকদের বলেন রাজ্যপাল।
পঞ্চাশ বছরেরও বেশি পুরনো এই ব্রিজটি গতকাল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ কানে তালা লাগানোর মতো শব্দ করে ভেঙে পড়ে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, এই ঘটনায় আহত হন উনিশজন মানুষ। মৃত এক।
বিজেপির জাতীয় সচিব রাহুল সিনহা এই ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী করেন রাজ্য সরকারকে। তিনি বলেন, “আমরা এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত চাই। এবং, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন”।
বিজেপির আরেক নেতা তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায় বলেন, “ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু, ঘটনা হল, এর জন্য সবথেকে বেশি দায়ী রাজ্য সরকার। পুরনো ব্রিজগুলির সংস্কার নিয়ে কোনও ভাবনাচিন্তাই করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার”।
শুধু বিজেপি নয়। এই দুর্ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। তিনি এর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সরাসরি দায়ী করে বলেন, এত পুরনো ব্রিজটির রক্ষণাবেক্ষণ যদি একটু মনোযোগ দিয়ে করত সরকার, তবে এত বড় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটত না কিছুতেই।
“এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক একটি ঘটনা। এবং, এটা কিন্তু রাজ্যে প্রথম ব্রিজ ভাঙার ঘটনা নয়। গত কয়েক বছরে পোস্তা এবং উল্টোডাঙাতে ব্রিজ ভাঙার ঘটনার সাক্ষী ছিলাম আমরা। রাজ্য সরকার যদি একটু দায়িত্বশীল হত, একটু সতর্ক হত, তাহলে এমন ঘটনা কখনওই ঘটত না”, বলেন অধীর।
এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ সফরে থাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে’কে তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন।
আহতদের পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং একমাত্র নিহতের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন মমতা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)