মাঝেরহাট ব্রিজের একাংশ ভেঙে পড়ার পর ট্রাক চলাচলে বেশ কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আর তাতেই সমস্যায় পড়ছেন বলে দাবি ট্রাক মালিকদের। ওই ঘটনার পর থেকে কুড়ি চাকার ট্রাক চলতে দেওয়া হয় না শহরে। তাতেই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে দাবি মালিকদের। তাঁরা জানিয়েছেন রাজ্যের বিভন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রাক। তার মধ্যে এমন অনেক জিনিসই পচতে শুরু করেছে। কিন্ত সরকারি নিয়মের জেরে সেগুলি কলকাতায় ঢুকতে পারছে না বলে জানিয়েছেন মালিক সংগঠনের নেতা সজল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, শুধু বড় গাড়ি নয় পুলিশ ছোট পণ্যবাহী গাড়িকেও বাধা দিচ্ছে। নিজেদের সমস্যা তুলে ধ্রার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর মনে হয় ট্রাক চলাচল বন্ধ করে কোনও সমস্যা মিটবে না। উল্টে ব্যবসা নষ্ট হবে এবং অনেক মানুষ কাজ হারাবে।
রাজ্যের বিভিন্ন দিকেই আটকে রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আলু নিয়ে আসা ট্রাক আটকে বাঁকুড়াতে। আবার শিলং থেকে আসা ডিমও আটকে আছে অন্যত্র। এই সব জিনিস রাজ্যে প্রবেশ করতে না পারলে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে পুলিশি তৎপরতা থাকলেও মাঝেরহাট ব্রিজের একাংশ ভেঙে পড়ায় প্রবল সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ। পুলিশের তরফে বিকল্প রাস্তার হদিশ দেওয়ার মতো উদ্যোগ নেওয়া হলেও যানজট হচ্ছেই। তবে পরিস্থিতি যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক করতে চাইছে পুলিশ। এরই মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা ভাল হতে বলে শুরু করেছে। কলাকাতা পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার গোয়েল জানান, ট্রাক আগের থেকে বেশি পরিমাণে চলছে।