অবশেষে মাঝেরহাট (majerhat) ব্রিজ পরিদর্শন করতে পৌঁছলেন মমতা ব্যানার্জি
কলকাতা: মাঝেরহাট ব্রিজের ভাঙা অংশ পরিদর্শনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। দার্জিলিং থেকেই ফিরেই মাঝেরহাট যান মমতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন মুখ্যসচিব মলয় দেও। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দার্জিলিং সফর শেষ না করেই ফিরে এসেছেন মমতা ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ কেমন ভাবে চলছে তা খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি আহতের চিকিৎসা কেমন ভাবে হচ্ছে সেটাও জেনে নেন প্রশাসনের কর্তাদের থেকে। সাংবাদিকদের তিনি জানান, আর ও বড় ঘটনা ঘটে পারত। কিন্তু কোনও ঘটনাকেই ছোট করে দেখা উচিত নয়। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে। কাল বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আমি বৈঠকে বসছি। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে দেন মমতা। তিনি বলেন, মৃত্যুর বিকল্প নেই। কিন্তু একজনের মৃত্যুর পর তাঁর বাড়ির বাকিদের বেঁচে থাকতে হয়। তাই মৃতের বাড়িতে চেক চলে গিয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনার দায় ঘুড়িয়ে মেট্রোর ঘাড়েই চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় প্রকাশ্যে এলো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা রাইটসের দাবি 2016 সালেই মাঝেরহাট ব্রিজ সম্পর্কে রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছিল। মেরামতির জন্য টেন্ডারও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু নানা রকম টালবাহানায় মেরামতির কাজে দেরি হয়ে যায়। বছর দুয়েক আগে পোস্তায় উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পর রাইটসকে দিয়ে শহরের সমস্ত ব্রিজ পরীক্ষা করায় রাজ্য সরকার। আর তখনই মাঝেরহাট ব্রিজ সম্পর্কে রিপোর্ট দেয় রাইটস। অন্যদিকে এই ঘটনার পর তৎপর হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। জানা গিয়েছে শহরের প্রতিটি ব্রিজের স্বাস্থ্য কেমন তা জানতে একটি নজরদারি কমিটি তৈরি করবে। পাশাপাশি দ্রুত ব্রিজটি মেরামতির কাজ শুরু হবে বলে খবর। তবে গাফিলতির অভিযোগ মানতে রাজি নয় পূর্ত দপ্তর। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক কর্তা জানিয়েছেন রাইটস মাঝেরহাট ব্রিজ মেরামতির কথা বলেছিল ঠিকই কিন্ত কোনও নির্দিষ্ট রিপোর্ট ছিল না। 2016 সালের 31 মার্চ ভেঙে পড়ে পোস্তা ঊড়ালপুল। সরকারি হিসেব অনুয়ায়ী 26 জনের মৃত্যু হয়। তারপর এ সংক্রান্ত ব্যাপারে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়। ঘটনা সম্পর্কে কলকাতা পুরসভার নগর পরিকল্পনা বিভাগের প্রাক্তন ডিজি দীপঙ্কর সিনহা জানান, ব্রিজে নীল সাদা রঙ করাই যেখানে প্রধান কাজ সেখানে এমন পরিণাম দেখে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।