রাতের দিকে তিনি জানান 19 জন আহত হলেও সকলেই স্থিতিশীল।
কলকাতা: এমন সময় তাঁর ঘটনাস্থলে থাকার কথা। হাতে মাইক নিয়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতেই ভাল লাগে তাঁর। 2016 সালের মার্চ মাসের শেষ সন্ধ্যায় পোস্তা বিপর্যয়ের সময়ও তাঁকে এভাবেই দেখেছিল কলকাতা। কিন্তু আজ তিনি অনেকটা দূরে। আর তাই উদ্বেগও বেশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দার্জিলিঙে বসেই খোঁজ খবর নিচ্ছেন তিনি। বারবার ফোন করছেন প্রশাসন ও পুলিশের কর্তাদের। একদম সাম্প্রতিক খবর জেনে নিচ্ছেন মমতা। উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়াও দিচ্ছেন প্রতি মুহূর্তে। সেভাবেই রাতের দিকে তিনি জানান 19 জন আহত হলেও সকলেই স্থিতিশীল। আর একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সেটা সত্যি কিনা তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। ব্রিজের নীচে শ্রমিকরা থাকতেন। তাঁরা যদি ঠিক সময়ে বেরিয়ে গিয়ে না থাকেন তাহলে দুর্ভাগ্যজনক কিছু একটা ঘটে থাকতে পারে।
আজ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ভেঙে পড়ে চল্লিশ বছরের পুরনো মাঝেরহাট ব্রিজ। ব্রিজের তলায় ওই সময় শুয়েছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাছাড়া একটি মিনিবাস সহ বেশ কয়েকটি গাড়িও আটকা পড়ে যায় নীচে । তড়িঘড়ি উদ্ধারকার্যে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা। কছাকাছি এলাকার থানাগুলি থেকে ছুটে আসেন পুলিশ কর্মীরা। আসেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। নামানো হয় ক্রেন। পৌঁছে যায় সেনা বাহিনীও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুর হয়। আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে প্রশাসন। ঘটনার কিছুটা বাদে টুইট করে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বলেন, এত বছরের পুরনো ব্রিজটির জন্য আরও উন্নতমানের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল।