majerhat bridge collapse: মাঝেরহাট ব্রিজ ভাঙা নিয়ে পূর্ত দফতরকে দায়ী করলেন মুকুল রায়।
কলকাতা: \মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার একদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। বুধবার রাজ্যের প্রায় সমস্ত বিরোধী দল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার জন্য তীব্র আক্রমণ করল রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকারকে। তাদের অভিযোগ তৃণমূল সরকারের প্রবল অবহেলার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। সরকার একমাত্র নীল-সাদা রং করে দেওয়া ছাড়া ব্রিজটির কোনওরকম সংস্কারই করেনি বলে দাবি বিরোধীদের। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য খুব স্বাভাবিকভাবেই উড়িয়ে দিয়েছে এই অভিযোগ। তাদের পাল্টা দাবি, সরকার মাঝেরহাট ব্রিজের সংস্কারের জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু এই ব্রিজটি বামফ্রন্টের শাসনকাল থেকেই খারাপ অবস্থায় ছিল এবং তৎকালীন শাসক দল তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি।
মাঝেরহাট ব্রিজের একটি অংশ গতকাল বিকেলে ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হয়েছে একজন যুবকের। আহত হয়েছেন উনিশজন। ব্রিজের ভাঙা অংশের তলায় চাপা পড়ে গিয়েছিল বহু মানুষ। চাপা পড়ে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মিনিবাস।
প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায় এই ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে বলেন, “নীল-সাদা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় দুটি রং। পূর্ত দফতর ব্রিজগুলির সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণ না করে এতদিন ধরে কেবল ব্রিজগুলোতে মন দিয়ে নীল-সাদা রং করে গেছে”।
তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার ও পূর্ত দফতর এই ব্রিজ ভেঙে পড়ার জন্য সবথেকে বেশি দায়ী। পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে এই ঘটনার দায় নিতে হবে সম্পূর্ণভাবে”।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। অন্যদিকে তাঁর ছোটভাইরা (তৃণমূল নেতারা) সিন্ডিকেট ব্যবসার নামে রাজ্যকে পুরো লুটে নিচ্ছে। এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দূরে সরিয়ে রেখে দিদির উচিত রাজ্যটার দিকে নজর দেওয়া”।
বিরোধীদের অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়ে রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “শহরের সৌন্দর্যায়ন করার মধ্যে তো কোনও ভুল নেই। সৌন্দর্যায়ন করা মানে এই নয় যে ব্রিজের সংস্কার করা হয়নি বা তাকে অবহেলা করা হয়েছে। ব্রিজের একাংশ ভেঙে পড়েছে এবং সেটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক”।
তাঁর কথায়, এখন বিভিন্ন ‘বিভ্রান্তিকর’ মন্তব্য করে রাজনৈতিকভাবে ‘লাভের গুড়’ খাওয়ার চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকা উচিত সবপক্ষেরই।