মাঝেরহাট উদ্ধার কাজে হাত লাগায় সেনা বাহিনী।
কলকাতা: দুপুর গড়িয়ে বিকেল নেমেছিল আর পাঁচটা দিনের মতোই। কিন্তু একটা বিকট শব্দে কেঁপে উঠল এলাকা। গোলমাল হয়ে গেল সব হিসেব। মাঝেরহাট ব্রিজের আশপাশে যে যেখানে ছিলেন ছুটে আসেন। তাঁরাই উদ্ধার কাঝ শুরু করেন। আর সেই কারণেই প্রাণে বাঁচলেন বহু মানুষ। পাশেই চলছে মেট্রোর কাজ। কাজ করছেন বেশ কিছু শ্রমিক। তাঁরাই প্রথম শব্দ শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে। তখন এদিক সেদিকে আটকে রয়েছেন অনেকে। শুরু হল উদ্ধারের কাজ। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই অনেকের মনে হয়েছে ব্রিজের যে অংশটা রেললাইনের একেবারে উপর, সেই দিকটা ভাঙলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হত। এই ব্রিজ ভেঙে পড়ায় ব্যহত হয় ট্রেন চলাচল। জানা গিয়েছে বিকেল পৌনে পাঁচটা থেকে শিয়ালদা- বজবজ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। তবে অন্য দিকে ট্রেন চলাচলে কোনও প্রভাব পড়েনি। একই কারণে সিগন্যাল ভেঙে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় চক্ররেলও।
দুর্ঘটনার কিছুটা বাদেই উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধার কাজে হাত লাগায় সেনা বাহিনী। পুলিশ ও দমকলের আধিকারিকরাও কাজ শুরু করেন। ভিড় বাড়তে থাকায় গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন পুলিশ কর্মীরা। পৌঁছে যান কলকাতার নগরপাল রাজীব কুমার ও মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেনা বাহিনীর ল্যাডারের মতো জিনিস দিয়ে উদ্ধারের কাজ চলছে। আলো কমে যাওয়র পর কৃত্রিম ভাবে আলো লাগানোর ব্যবস্থা হয়। প্রাথমিক কাজ মেটার পর ব্রিজের একটা একটা করে অংশ পরীক্ষা করে দেখা হয়। উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিং থেকেই গোটা উদ্ধারকাজের উপর নজরদারি চালাতে থাকেন। রাতের দিকে বিরোধী নেতানেত্রীরা পৌঁছন ঘটনাস্থলে।