Majerhat Bridge Collapse: পুলিশি উদ্যোগ তবু অবহ্যত যানজট: শনি এবং রবিবার অতিরিক্ত মেট্রো চালানো হবে বলে ঠিক হয়েছে।
কলকাতা: পুলিশি তৎপরতা থাকলেও মাঝেরহাট ব্রিজের একাংশ ভেঙে পড়ায় প্রবল সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশের তরফে বিকল্প রাস্তার খোঁজ দেওয়ার মতো উদ্যোগ নেওয়া হলেও যানজট হচ্ছেই। তবে পরিস্থিতি যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক করতে চাইছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, "যাত্রার সময় কী করে কমিয়ে আনা যায় সেটা আমরা দেখছি। অনেকেরই জানা নেই এমন বিকল্প রাস্তার সন্ধানও দিচ্ছি। পাশাপাশি পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের উপরেও কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সেগুলি শহরে ঢোকা ও বেরনোর সময় কমিয়ে আনা হয়েছে।"
কিন্তু এত কিছুর পর ডায়মন্ডহারবার রোড জুড়ে শুধুই গাড়ির সারি। কিন্তু পরিস্থিতি যে সহজে মিটবে না সেটা ভালভাবেই জানেন স্থানীয়রা। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানালেন যতদিন না নতুন ব্রিজ তৈরি হচ্ছে ততদিন যে যানজট থেকে মুক্তি মিলবে না তা আমরা বেশ বুঝতে পারছি। অফিস যাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়া - সমস্যায় সকলেই। আর তাই শনি এবং রবিবার অতিরিক্ত মেট্রো চালানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। শনিবার এতদিন চলত 224টি মেট্রো। এখন চলবে 250 টি। আর রবিবার 110টির বদলে 136 টি মেট্রো চলবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, মাঝেরহট ব্রিজের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় এবার প্রকাশ্যে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ব্রিজের একটি অংশ দেখভাল করে রেল সেটি যে বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে তা তারা রাজ্যকে জানিয়েছিল। তাও দেড় মাস আগে। 27 জুলাই যে অংশটিকে বিপদজনক বলা হয়েছিল ভেঙেছে সেটাই। তাতে তিন জনের প্রাণ গিয়েছে। কমবেশি আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এমন সম্ভবনার কথা রাজ্যকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছিল। পূর্ত দপ্তরের অধীন কেএমডিএ-র কাছে সেই চিঠি পৌঁছেছিল। তাতে ভয়ের কথা বেশ স্পষ্ট করেই বলা হয়েছিল। একেবারে স্পষ্ট করে বি/11 থামের কথাই বলা হয়েছিল। এই চিঠি লেখার কয়েকদিন আগে 21 তারিখ মাঝেরহাট ব্রিজ পরিদর্শন করে পূর্ব রেলের কমিটি।